Soical Bar

আজ বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গুয়ার হাওরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বন্ধের দাবি

editor
প্রকাশিত জুন ২২, ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ণ
টাঙ্গুয়ার হাওরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বন্ধের দাবি

Sharing is caring!

মোঃ ওবায়দুল হক মিলন,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ধ্বংস করে পর্যটন চলতে পারে না। আর হাওরের পরিবেশ যদি ভালো না থাকে, তাহলে পর্যটকেরাও আসবেন না। তাই পর্যটনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে টাঙ্গুয়ার হাওর পর্যটন গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার টাঙ্গুয়ার হাওর তীরবর্তী জয়পুর গ্রামে ‘টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, মূল টাঙ্গুয়ার হাওরের ইঞ্জিনচালিত নৌকা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এতে শব্দদূষণ, পানিদূষণ এবং প্লাস্টিকদূষণ অনেকাংশে কমে যাবে। একই সঙ্গে হাতে চালিত নৌকায় মূল টাঙ্গুয়ার হাওরে যদি পর্যটকেরা ঘোরেন, তাহলে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাই অতি দ্রুত মূল টাঙ্গুয়ার হাওরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা প্রবেশ বন্ধ করার জন্য তাঁরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ পুরকায়স্থ টিটুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় হাওরের ওয়াচ টাওয়ারের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, হাওরের পর্যটকবাহী নৌকার বাদ্যযন্ত্র ও মাইকের শব্দে তাদের অসুস্থ রোগী, ছাত্র-ছাত্রীসহ মানুষ অতিষ্ঠ। অন্যদিকে পর্যটকেরা যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল, গ্লাস ও কাচের বোতল ফেলার কারণে হাওরের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা। এখানে সবার আগে পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটনের কারণে স্থানীয় মানুষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না; কিন্তু তারা নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। হাওরের সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এভাবে পর্যটন চলতে পারে না। স্থানীয় মানুষের স্বার্থ অবশ্যই দেখতে হবে। এখানে নৌকাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করতে হবে এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা মূল টাঙ্গুয়ার হাওরের ঢোকার আগেই থামিয়ে দিতে হবে। এটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে এখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে এক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
গ্রামবাসীর মধ্যে বক্তব্য দেন টাঙ্গুয়ার হাওর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খসরুল আলম, আহমদ কবির, আলী আহমদ, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম, আল আমিন, নূর মিয়া, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার গ্রিন ক্লাবের সদস্য মাহফুজ আহমেদ, ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

Follow for Regular News