ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। আজ জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ট্রেনে করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল সোমবার সকালে ভালুকা থানার বিপরীতে টিঅ্যান্ডটি রোডের একটি বাসা ময়না বেগম (২৫) নামের এক নারী এবং তাঁর দুই শিশু সন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রাতে ময়নার ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় নিহতের দেবর নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-একজনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর নজরুল তাঁর মুঠোফোনটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি রোডের একটি বাসায় স্ত্রী ময়না বেগম (২৫) এবং রাইসা (৭) ও নীরব (২) নামের দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রফিকুল ইসলাম। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের সেনের বাজার গ্রামে। রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম হত্যা মামলায় জেলে ছিলেন। আড়াই মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে রফিকুলের বাসায় ওঠেন। গত রোববার রাতে রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালন করে সোমবার সকালে বাসায় ফেরেন রফিকুল। তখন ঘরে তালা দেওয়া ছিল। রফিকুল তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, বিছানায় তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। একসঙ্গে তিনজনকে খুনের ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আজ নিহত তিনজনের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে ভালুকার কুল্লাব গ্রামে ময়নার বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে মায়ের কবরের দুই পাশে দুই সন্তানকে দাফন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নার ভাই জহিরুল ইসলাম।