মৌলভীবাজারের দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদে নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপের বিপরীতে সরকারী মহিলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আনিছুর রহমান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দের অশালীন আচরণ ও মন্তব্যের প্রতিবাদে দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাইস্কুলের সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্কুল প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের প্রায় ১২ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী যাদের বয়স ৭ থেকে ১৬ ও মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্রী ১৬ ফুট প্রস্থ একটি সড়ক যার এক পাশে বর্তমানে ড্রেন নির্মানের কাজ চলছে সে সড়ক দিয়ে সকালের দিকে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে। এ সময় সড়কের প্রবেশ মুখে ট্রাফিক সার্জেন্ট সহ ৫/৭ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও তা যথেষ্ঠ নয়। অহরহ দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকাল ৮.৩০ থেকে ৯ টা ও দুপুর ১.৩০ ঘটিকা থেকে ২.২০ ঘটিকা পর্যন্ত এ সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের ৪/৫ জন শিক্ষক এ সিদ্ধান্ত না মেনে তাদের নিজস্ব গাড়ী ও রিকশা নিয়ে কলেজে আসতে থাকেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে তাদের সাথে অভিভাবকদের বাক বিতন্ডা চলছে। দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদে নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করণে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

তারা আরো অভিযোগ করেন, মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের ৪/৫ জন শিক্ষক যারা ইতোপূর্বে অন্য জেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করায় জনসাধারণের রোষানলে পড়ে তদবীর করে এ কলেজে বদলী হয়ে এসেছেন। তারা স্থানীয় ২/৩ জন ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের ইন্ধনে শান্তি পূর্ন মৌলভীবাজার জেলাকে অশান্তি পূর্ন করার লক্ষ্যে দুটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছেন। অভিভাবকরা দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপদে নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করণে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।


অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পরিচালনা কমিটির সদস্য মতিন বখশ, জি এম মুক্তাদির রাজু ফুয়াদ জামান, আবুল কালাম বেলাল প্রমুখ।