আজ বুধবার, ২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুদকের অভিযানে মিলল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ণ
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  দুদকের অভিযানে মিলল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র

Sharing is caring!

তৈয়বুর রহমান (কালীগঞ্জ) গাজীপুর:

 

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বিশেষ দল এ অভিযানে অংশ নেয়।

অভিযান শেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের ভীফ করেন সমুন্নীত গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক।

তিনি বলেন, প্রথমে সকাল ৯টা থেকে ছদ্মবেশে টানা ২ ঘন্টার মত সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবজারভেশন করি। আর তাতে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা আমরা পাই। যেমন জরুরী বিভাগে যারা সহকারী হিসেবে কাজ করে, তারা ব্যান্ডেজ বাধা বা ওষুধ দেওয়ার পর ৫০/১০০ টাকা জোর করে নিচ্ছে।

যে অভিযোগগুলো পেয়েছি তা আমাদের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হবে। তারা পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। জনগণের অর্থ ও সেবার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেছি। তদন্তে অভিযোগগুলোর সত্যতাও মিলেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেও অনিয়মের দায় স্বীকার করেছেন। ”

অভিযোগগুলো ছিল- কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত দেরিতে অফিসে আসেন। ফলে রোগীরা সঠিক সময়ে সেবা পান না, সরকার নির্ধারিত ৩ টাকার পরিবর্তে রোগীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে, হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ আল্ট্রা-সোনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। ফলে রোগীদের বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে বা ক্লিনিকে উচ্চমূল্যে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে, রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং পরিমাণেও কম, রান্নাঘর ও হাসপাতালের পরিবেশের ছিল অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা, স্টোরের মজুদ মালামালের হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানা রশিদ বলেন, “আমি সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। তাদের ব্যর্থতার কারণে পুরো দায়ভার আমাকে নিতে হচ্ছে।”