সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে আলোচনায় এসেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মেধাবী ছাত্রী অমৃতা ছএী। সে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
অমৃতার বাড়ি শ্রীমঙ্গলের পূর্বাশা আবাসিক এলাকায়। তার বাবা বাবুল ছএী প্রবাসে কর্মরত এবং মা অনু ছএী একজন গৃহিণী। অমৃতার ছোট ভাই অর্ণব ছএী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। অমৃতা এর আগে এসএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
অমৃতা জানায়, “আমি আমার বাবা-মা ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই।”
তার বাবা-মা বলেন, “আমরা তার ফলাফলে গর্বিত। সে যেন তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে—এই আশির্বাদ করি।”
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের এক শিক্ষক জানান, “অমৃতা নিয়মিত, মনোযোগী ও পরিশ্রমী ছাত্রী ছিল। তার এই সাফল্য প্রাপ্য।”
অমৃতা সংগীত চর্চাতেও পারদর্শী। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সে সক্রিয়। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে এশিয়ান এইজ এর হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের জেলা সংবাদদাতা স্বপন কুমার সিং, অমৃতার কৃতিত্বে বলেন—
“পরিশ্রম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে সে এই সাফল্য অর্জন করেছে। তার এমন ফলাফল পরিবার ও এলাকার সবার গর্ব।”
অমৃতার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত এবং ইসকনের অনুসারী। তাঁদের গুরু জয়পতাকা স্বামী মহারাজ। ভক্তিময় জীবনের অনুপ্রেরণাই অমৃতাকে নৈতিকতা ও পরিশ্রমে দৃঢ় করেছে বলে পরিবার জানায়।