আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা পুরস্কার জীবদ্দশায় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

editor
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ণ
স্বাধীনতা পুরস্কার জীবদ্দশায় দেওয়ার  আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

টাইমস নিউজ 

স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ব্যক্তির জীবদ্দশায় দেওয়ার নিয়ম করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কারটি পেলে যে আনন্দ দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি, তিনি আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা যেন আগামীতে নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার পালা, তাদের দেওয়া শেষ হওয়ার পর থেকে শুধু জীবিত অবস্থায় যারা আছেন, তাদের আমরা পুরস্কার দেবো।’

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

Manual7 Ad Code

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তারা (পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা) আমাদের জাতিকে এক মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, পুরস্কার দিয়ে কেবল তাদের সম্মান করছি না, আমরা বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মান তাদের মাধ্যমে আমরা পাচ্ছি। তারা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত, তারা জাতির জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। আমরা চাই, যাদের আমরা সম্মান দিতে চাই, যথাসময়ে যেন সেটি দেই।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।

Manual3 Ad Code

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেবো না।’

এ সময় এই বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের ‘বাংলার সূর্যসন্তান’ উল্লেখ করে তাদের কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘যারা আজ এ সম্মাননা পেলেন, তারা জীবদ্দশায় এ প্রাপ্তি দেখে যেতে পারেননি। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আজকের দিনে তাদের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

Manual8 Ad Code

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর সাত বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে মনোনীত লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর (বদরুদ্দীন উমর) ছাড়া বাকি ছয়জনই মরণোত্তর পুরস্কার পেয়েছেন। বদরুদ্দীন উমরও আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরস্কার গ্রহণ করেননি। আজকের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ জানিয়েছেন, বদরুদ্দীন উমরের পুরস্কারের রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে রাখা হবে।

Manual5 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code