আজ সোমবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের সঙ্গে যে কারণে বসতে চায় বাংলাদেশ

editor
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ণ
ভারতের সঙ্গে যে কারণে বসতে চায় বাংলাদেশ

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code

টাইমস নিউজ

থাইল্যান্ডের ব্যংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইটলাইনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী ৩ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ব্যংকক যাবেন এবং ৪ এপ্রিল সেখানে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন্।

Manual1 Ad Code

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনও দেশের শীর্ষনেতার সঙ্গে বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের যে বর্তমান প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে এটিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমরা আশা করি, যদি এই বৈঠকটি হয়, তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সৃষ্ট যে স্থবিরতা, সেটি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের দিক থেকে বলতে পারি— আমরা বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছি এবং ভারতের দিক থেকে আমরা ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছি।’

Manual1 Ad Code

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে আগামী ২ বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিমসটেকের আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, জ্বালানি সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা ও মানব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, সংস্কৃতি, পর্যটনের বিকাশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারি মোকাবিলার প্রস্তুতি প্রভৃতি বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সর্বসম্মতিক্রমে যৌথ ঘোষণা জারি করবেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কোঅপারেশন সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

Manual6 Ad Code

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ চুক্তি বাণিজ্যিক শিপিং এবং সামুদ্রিক পরিবহন শক্তিশালী করার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন নতুন বাংলাদেশের জন্য বিমসটেকের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক অঙ্গনে নতুন পদচারণা। এবারের সম্মেলন আমাদের জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে উপস্থাপনের সুযোগ এনে দেবে বলে তিনি জানান।

সচিব বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এবারের সম্মেলন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় এবং গভীর করবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

Manual2 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code