Sharing is caring!

ওবায়দুল হক মিলন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
লোভনীয় অফার ও প্রলোভন দেখিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে কৌশলে শতাধিক গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ওমেন্স গ্লোবাল এমপাওয়ারমেন্ট ফান্ড নামে একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা’ (এনজিও) । পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা করলে সহজ কিস্তিতে মিলবে ৫ লাখ টাকা ঋণ’ এমন অফারে সবাই টাকা জমা করেন।
মঙ্গলবার (২২ এ্রপ্রিল) সকাল থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নে কামড়াবন্দ গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ী কার্যালয়ে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পান ভুক্তভোগীরা ।
সংস্থাটির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ছিলো ক্ষুদ্রঋণ প্রদান এবং শর্তানুসারে ৫০ হাজার টাকা জমা করলে সহজ কিস্তিতে মিলবে ৫ লাখ টাকা ঋণ। তাছাড়া সদস্য হতে পনেরশো বা দুইহাজার টাকা সঞ্চয় দিতে হয়েছে ভুক্তভোগীদেরকে।
ভুক্তভোগীরা জানান অফিসের সামনের অংশে বাহিরে ছোট একটি সাইনবোর্ড টানানো আছে। সাইনবোর্ডের উপরের অংশে লিখা ‘মাইক্রোফিনান্স এন্ড মাইক্রোক্রেডিট’ এবং ঠিক এর নিচে লিখা সৌজন্যে ‘ওমেন্স গ্লোবাল এমপাওয়ারমেন্ট ফান্ড’।
তাছাড়া অফিসের বারান্দায় আরেকটি সাইনবোর্ড পড়ে থাকতে দেখা গেছে, সেখানে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সেভয় আইসক্রিম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন, রোড নং ৮, ব্লক-ডি, বিএড ভবন (২য় তলা), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, ঢাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল হাসেম বলেন, পনেরশো টাকা সঞ্চয় দিয়ে সদস্য হয়েছিলাম। পরে আরও ৫ হাজার টাকা জমা করতে বললে করি। একপর্যায়ে জানতে চাইলো কত টাকা ঋণ নিতে চাই, আমি ৫ লাখ টাকা জানালে আমাকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়। আমি ধারদেনা করে এই টাকা যোগাড় করে জমা দেই৷ এখন এসে দেখি অফিস তালাবদ্ধ।
বাড়িটির মালিক সৈয়দ মনিরুজ্জামান বলেন, তারা যখন বাসা ভাড়া নেয়, আমি তখন সিলেটে ছিলাম। বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখে একজন আমার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে। পরে আমি তাদের অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং দিতে বলি। একপর্যায়ে চলতি মাসের ১৩ তারিখ তারা আসে। আমি তাদেরকে পরিচয়পত্র দিয়ে চুক্তি করার জন্য বলি। এর জবাবে এক সপ্তাহ পর তাদের ডিরেক্টর আসলে চুক্তি করবে বলে জানায় তারা। এসময়ের মধ্যে তারা উধাও হয়ে যায়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।