আজ রবিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনের পরদিনই মাওলানা ভাসানী সেতু থেকে   ৯২৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ণ
উদ্বোধনের পরদিনই মাওলানা ভাসানী সেতু থেকে   ৯২৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual7 Ad Code
স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছে তিস্তা দ্বিতীয় সেতু। বহুল প্রতীক্ষার এ সেতু উদ্ধোধনের মাত্র একদিনের মাথায় চুরি হয়েছে প্রায় ৩০০ মিটার বৈদ্যুতিক ক্যাবল। এতে সন্ধ্যার পর ঘুটঘুটে অন্ধকার নামছে ওই অংশে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সেতু থেকে ক্যাবল চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এর আগে বুধবার এ সেতুর উদ্ধোধন করেন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উদ্ধোধনের পরদিনই সেতু থেকে ক্যাবল চুরির ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে গিয়ে দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলছে না।
পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, সেতুর হরিপুর পয়েন্ট থেকে সংযোগ নেওয়া বৈদ্যুতিক তার কেটে নিয়ে গেছে চোরচক্র।
সবশেষ রাত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান মিলন।
প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান মিলন গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাবল চুরি হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি এবং সেতুটি এখনও অন্ধকারে রয়েছে।
এ দিকে উদ্ধোধনের পরদিনই সেতু থেকে ক্যাবল চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
 অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেসবুকে কেউ লিখেছেন, ‘দুঃখিত, আমরা সামান্য ক্যাবলের লোভ সামলাতে পারলাম না।’ কেউ বলছেন, ‘কিছুদিন পর হয়তো ব্রিজ ভেঙে রডও চুরি করবে!’
এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ইতোমধ্যে ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা।
১৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটির লেন সংখ্যা ২টি এবং মোট স্প্যান সংখ্যা ৩১টি। প্রকল্পে সংযোগ সড়ক ও নদী শাসনসহ প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code