আজ বৃহস্পতিবার, ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি এম কাদের ও তার স্ত্রীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ণ
জি এম কাদের ও তার স্ত্রীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

Oplus_16908288

Sharing is caring!

সদরুল আইনঃ
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।
জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।
এর অংশ হিসেবে জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে সংস্থাটি। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের অভিযোগ বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন দিতে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণ করা হয়, যার মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
অভিযোগে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে জিএম কাদেরের স্ত্রী শরীফা কাদের সংসদ সদস্য হন।
এতে আরও বলা হয়, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
এ ছাড়া তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের তারও একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া জিএম কাদের জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।