আজ শুক্রবার, ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার জামিন আবেদন নামঞ্জুর

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৩:৫৩ অপরাহ্ণ
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার জামিন আবেদন নামঞ্জুর

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual7 Ad Code
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাস পিয়াস শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী।
গত ২৮ অগাস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে এক আলোচনা সভায় লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরদিন শুক্রবার শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার লতিফ সিদ্দিকীর স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন আদালতে জমা না পড়ায় তার আইনজীবী জামিন আবেদন প্রত্যাহার করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার আবারও তার পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হোসেন ও ইফফাত জাহান রনি জামিন আবেদন করেন। সাংবাদিক পান্নার পক্ষে ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন প্রার্থনা করেন।
আইনজীবী কামরুল হোসেন বলেন, “লতিফ সিদ্দিকী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, এটা কারো অজানা নয়। ঘরোয়া পরিবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের ওপর ‘মব ভায়োলেন্স’ চালানো হয়েছে। ৮৭ বছর বয়সের একজন অসুস্থ মানুষ, তার জামিনের আবেদন করছি।”
ফারজানা ইয়াসমিন রাখী যুক্তি দেন, “এজাহারে সাংবাদিক পান্নার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আলোচনার আগে ডিএমপির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।
যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করছিলেন, তারাই হামলার শিকার হয়েছেন। অথচ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।”তবে শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষার লক্ষ্যে ৫ অগাস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ অগাস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গোলটেবিল বৈঠক হয়।
সেখানে একদল ব্যক্তি হট্টগোল সৃষ্টি করে, স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে ও আলোচক ও অতিথিদের অবরুদ্ধ করে রাখে। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে এবং পরবর্তীতে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না ছাড়াও মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আরও ১৪ জনকে। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code