Sharing is caring!
উৎফল বড়ুয়া, সিলেট:
সিলেট মহানগর এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর কনফারেন্স রুমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পুলিশ কমিশনারের কাছে বিগত নির্বাচনের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।মান্যবর পুলিশ কমিশনার মহোদয় তাদের তুলে ধরা সমস্যার প্রেক্ষিতে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় পুলিশ কমিশনার মহোদয় বক্তব্যে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার–প্রচারণার সময় সকল রাজনৈতিক দল যেন শৃঙ্খলার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে, সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য থ্রেট অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে, প্রয়োজন মনে হলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি জানান,প্রতিটি দলের সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করবে। তবে সীমিত জনবল বিবেচনায় দলগুলোর স্বেচ্ছাসেবকদেরও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারে। প্রয়োজনে তাদের নির্বাচনী নিরাপত্তা বিষয়ে ব্রিফিং ও সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।পুলিশ কমিশনার মহোদয় প্রস্তাব করেন,সকল রাজনৈতিক দলের জন্য একটি উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে সবাই নিরাপদে জনসমাবেশ করতে পারবে।দেখা যাচ্ছে, অনেকে একে–অপরের ব্যানারের ওপর পোস্টার লাগিয়েছেন ও ছিঁড়ে ফেলছেন, যা সংঘাতের কারণ হতে পারে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী এসব সরিয়ে ফেলতে হবে। এখন থেকেই সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান,নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ জানাতে কল সেন্টার নম্বর: 01339911742 চালু করা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। পাশাপাশি “জিনিয়া অ্যাপ” শিগগিরই সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার ৬ থানায় চালু হবে।তিনি বলেন,নির্বাচনী সময় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ড্রোন সার্ভেল্যান্স ও শক্তিশালী সাইবার টিম কাজ করবে। ইতিমধ্যে সিটিজেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে, এর আওতায় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সকল নগরীর বাসিন্দা ও কর্মচারীর তথ্য জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সর্বশেষে তিনি বলেন,“আমরা চাই ২০২৬ সালের নির্বাচন হোক নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর। সবার সহযোগিতায় সেটি সম্ভব।এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ।