আজ শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলো কোভিড পরীক্ষার খরচ

editor
প্রকাশিত জুলাই ৪, ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ণ
কমলো কোভিড পরীক্ষার খরচ

Oplus_16908288

Sharing is caring!

সিনিয়র প্রতিবেদকঃ
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের কোভিডের আরটিপিসিআর ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার খরচ কমিয়ে নতুন ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এখন থেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আরটিপিসিআর ২০০০ টাকা এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এতদিন আরটিপিসিআরে ৩০০০ টাকা এবং র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৭০০ টাকা নিয়ে আসছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে বুধবার (২ জুলাই) দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার কোভিড-১৯ রোগনির্ণয় ও ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভা হয়। ওই সভায় বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোভিডের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষার নতুন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত ফির বেশি আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলতি বছর ৬১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৬২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২২ জনের।
কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে।
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে।