আজ রবিবার, ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বার্তা;একজোট হচ্ছে ভারত-রাশিয়া-চীন?

editor
প্রকাশিত মে ৩০, ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ণ
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বার্তা;একজোট হচ্ছে ভারত-রাশিয়া-চীন?

Sharing is caring!

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (বামে), ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (মাঝে), চীনের প্রেসডেন্ট শি জিনপিং,

রেডটাইমস ডেস্ক:

চলতি মাসের শুরুর দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ভারত ও চীনের মধ্যে পশ্চিমারা সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করছে। ল্যাভরভ দাবি করেন, ভারত-চীনকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ অঙ্ক কষে এশিয়ার দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি করতে তত্পর পশ্চিমের দেশগুলো। তবে এবার নতুন বার্তা দিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া-ভারত-চীন (আরআইসি) ফরম্যাটের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে মস্কো সত্যিকারের আগ্রহী। তিনি বলেছেন, এই ত্রয়ীর আবার কাজ শুরু করার সময় এসেছে।

ইউরেশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, ভারত ও চীন- এই ত্রয়ী ফরম্যাটের কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আমাদের আন্তরিক আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। সাবেক রুশ প্রধানমন্ত্রী ইয়েভগেনি প্রিমাকভের উদ্যোগে অনেক বছর আগেই এই ফরম্যাট চালু হয়েছিল। এরপর এটি ২০ বারেরও বেশি মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করেছে। শুধু পররাষ্ট্রনীতি প্রধানদের নয়, বরং তিন দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও আর্থিক সংস্থার প্রধানরাও এতে অংশ নিয়েছেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমার যতদূর জানা, ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত করতে একটি সমঝোতা হয়েছে। আমার মতে, এখনই উপযুক্ত সময় এই আরআইসি ত্রয়ী পুনরুজ্জীবিত করা।


রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ,

এ ছাড়া এদিন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, ন্যাটো স্পষ্টতই ভারতকে চীন-বিরোধী ষড়যন্ত্রে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে।

২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সংঘর্ষের পর থেকে আরআইসি ফরম্যাট কার্যত স্থগিত ছিল।

এর আগে গত ১৬ মে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এশিয়ায়। ভারতও অর্থনৈতিকভাবে নজর কাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলে লাভ পশ্চিমা বিশ্বের। এশিয়ার বাকি দেশগুলোকে সহজে ব্যবহার করতে পারবে আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। তাই আপাতত চীন ও ভারত দুই প্রতিবেশীর আধিপত্য কমাতে দুই জনকে সংঘাতের ময়দানে মুখোমুখি দাঁড় করাতে সক্রিয় হয়েছে পশ্চিমারা।

 

 

তথ্য সুএঃ ইত্তেফাক