আজ শুক্রবার, ৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিজিএসের সংলাপ ‘পক্ষে গেলে সাংবাদিকতা মুক্ত, বিপক্ষে গেলে মব’

editor
প্রকাশিত আগস্ট ৭, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
সিজিএসের সংলাপ ‘পক্ষে গেলে সাংবাদিকতা মুক্ত, বিপক্ষে গেলে মব’

Oplus_16908288

Sharing is caring!

সদরুল আইনঃ
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: অভিযোগ নিষ্পত্তি ও স্বনিয়ন্ত্রণের বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপের বক্তব্যে উঠে আসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো নতুন ধরনের চাপের মুখে পড়েছে।
এদিন দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সময়ে অনেক সাংবাদিক হামলার শিকার।
তিনি বলেন, ‘আমি ভীত, চিন্তিত। সাংবাদিকরা দৌঁড়ের উপরে আছেন। অনেক সাংবাদিক মামলার শিকার, অনেকে দেশ ছেড়েছেন। অনেক সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন।
সবাই বলছেন ১৬ বছরের কথা। ৫৪ বছরই তো একই অবস্থা দেখেছি। এখন বলা হচ্ছে সাংবাদিকতা মুক্ত। বাস্তবতা হল, পক্ষে গেলে মুক্ত, বিপক্ষে গেলেই মব ভায়োলেন্স।’
নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে ঐকমত্য কমিশনে যে ঐকমত্য দেখানো হচ্ছে তা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন মতিউর রহমান চৌধুরী।
একই অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজও মবকে সাংবাদিকতার জন্য বড় হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মব সাংবাদিকতার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে উপস্থিত হয়েছে, এটা বিবেচনা করতে হবে। সরকার, মালিকপক্ষ এবং সম্পাদকের বাইরেও এরকম একটা শক্তি তৈরি হয়েছে, যে শক্তিটা সাংবাদিকতাকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এটা সবার ধর্তব্যে নেওয়া দরকার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা বলেন, সংবিধানসংক্রান্ত যে বিস্তৃত আলোচনা হচ্ছে, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি অনুপস্থিত।
 গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সামনে এনে সাংবাদিকদের অন্য আইনি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হবে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর যে অবিচার হয়, যে চাপ আসে, সেগুলো নিরসন করা হবে না, ব্যাপারটি যেন এ রকম না হয়।
গণমাধ্যমকে পুরো স্বাধীনতা দিতে হবে বলে মন্তব্য করে জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক আসিফ বিন আলী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা বলেন, সংবিধানসংক্রান্ত যে বিস্তৃত আলোচনা হচ্ছে, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি অনুপস্থিত।
 গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সামনে এনে সাংবাদিকদের অন্য আইনি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হবে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর যে অবিচার হয়, যে চাপ আসে, সেগুলো নিরসন করা হবে না, ব্যাপারটি যেন এ রকম না হয়।
গণমাধ্যমকে পুরো স্বাধীনতা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক আসিফ বিন আলী। তিনি বলেন, এখন যেটা আছে, সেটা ‘অ্যাডহক ফ্রিডম’ (ক্ষেত্রবিশেষে স্বাধীনতা)।
কেউ যদি সরকারের ‘প্রেস টিমের’ পরিচিত হয়, তার জন্য ‘ফ্রিডম’ আছে। আর কেউ যদি বিগত সরকারের সময় ভুল করে থাকে, এখন সাংবাদিকতা করতে চায়, তার জন্য ফ্রিডম নেই। এটার সাম্প্রতিক উদাহরণ দৈনিক জনকণ্ঠ।
জনকণ্ঠ দখল হয়েছে উল্লেখ করে আসিফ বিন আলী আরও বলেন, এর পেছনে অ্যাক্টররা (পেছনে থাকা লোক) বিগত সরকারের সময়ও ভিন্ন নামে সক্রিয় ছিল। এখন নতুন করে সক্রিয় হয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি জটিল। আইনের শাসন না নিশ্চিত করা হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে না।
বাংলাদেশ গণমাধ্যমের মালিকানা পরিস্থিতি তুলে ধরে আসিফ বিন আলী বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের মতো একটা বড়সড় গ্রুপ পুরো মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে জমি দখলের ব্যবসাকে বৈধতা দিতে পারে।