Sharing is caring!

মো: জাফর ইকবাল,
মৌলভীবাজার সদরের কদুপুরে দা দিয়ে কোপানো মারাত্নক আহত বাগানের কেয়ারটেকার পাকু মিয়া(৭০) চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। থানায় অভিযোগ করেও তার দিন কাটছে আতংন্কে।
জানাযায়, মঙ্গলবার(২ সেপ্টেম্বর) ১২ নং গিয়াস নগর ইউনিয়নের কদুপুর সৈয়দ নাসিম আহমদ এর বাগানের পাশে এলাকার জাবেদ মিয়া ছেলে সামছুল ইসলাম সোহান (২৫) পুর্ব শত্রুতার জের ধরে শহর থেকে বাগানে ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে শ্রমিকদের বেতনের ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় ।
এব্যাপারে মৌলভীবাজর মডেল থানায় আহত কেয়ারটেকার পাকু মিয়ার(৭০) ছেলে সাব্বির আহমদ সুমন বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। কদুপুর এলাকায় সৈয়দ নাসিম আহমদের বাগানে দীর্ঘ দিন ধরে কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করেন পাকু মিয়া। একি এলাকার জাবেদ মিয়া ছেলে সামছুল ইসলাম সোহান (২৫) বিভিন্ন সময় বাগানের গাছ কেটে, ফিসারির মাছ ধরে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে পাকু মিয়া প্রতিবাদ করে অনেক সময় ঝগড়া বিবাদ করেন। ফলে সামছুল ইসলাম সোহান তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর পাকু মিয়া সদরের পশ্চিম বাজার মিতা স্যানেটারী নামক মালিকের দোকান হতে বাগানের কাজের লোকের ২৫ হাজার টাকা মজুরীর নিয়ে যাওয়ার পথে কদুপুর ইসমাইল মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন রাস্তায় রাত সাড়ে ৯ টায় সামছুল ইসলাম সোহান কয়েকজন সঙ্গী সহ তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে। স্থানীয়রা পরে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভর্তি করেন।
কদুপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন জানান, সামছুল ইসলাম সোহান এলাকার স্থানীয় নয়। সে ছেলে হিসাবে তেমন ভাল নয়।অন্য একজন লোকের পরিত্যক্ত বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে স্বপরিবারে বসবাস করে।
মোকামবাজারে পুর্বে তার একটি দোকান ছিল বর্তমানে নেই। পাকু মিয়া একজন বৃদ্ধ মানুষ তাকে কোপানোর বিষয় তারা শুনেছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী তার উপর ক্ষোব্ধ হয়েছেন। তারা তার মালিককে জানাবেন তাদেরে এখান থেকে বিদায় করার জন্য।
এব্যাপারে সামছুল ইসলাম সোহানের মা ঘটনা স্বীকার করে বলেন, শুনেছি আমার ছেলে পাকু মিয়াকে মেরেছে। তবে কেন মারলো বলতে পারছিনা। সে থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে বাড়িতে আসেনা।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান বলেন,আমার থানায় অভিযোগ হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে।