মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এমরান আহমেদ (২৪) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃ/ত্যু/র ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৭শে সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় এমরানকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন।
পরে তারা বিষয়টি এমরানের স্বজন ও পুলিশকে খবর দেন।
নিহত এমরান আহমদ উপজেলার ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ সুজানগর গ্রামের খলিল উদ্দিনের ছেলে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের গেট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনার আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন এমরান। সেখানে তিনি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চান এবং মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করলেও প্রিয়জন ও পরিবারের অবহেলার কথা উল্লেখ করেন। ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন, পারিবারিক কোনো কারণে মানসিক চাপের কারণে এমরান এমন সিদ্ধান্ত নেয়। সে কারণেই হয়তো তিনি এই পথ বেঁচে নিয়েছেন।
নিহতের বাবা খলিল উদ্দিন জানান, তার ছেলে ইমরান আহমদ রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে একটি গামছা ও একটি টর্চলাইট হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মোবাইল ফোনও বাড়িতে রেখে যায়। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তার দাবি ইমরান আহমদ আত্মহত্যা করেছে এবং যাওয়ার আগে তার ফেসবুক আইডিতে এর ইঙ্গিত দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ সন্দেহজনক ছিল। পরে সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।