আজ শনিবার, ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন, টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল : রনি

editor
প্রকাশিত জুলাই ৫, ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন, টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল : রনি

Sharing is caring!

অনলাইন ডেস্ক:

সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, যা তার প্রতিপক্ষের নিকট রীতিমতো একটি রাক্ষসে নাম, একটি সুনামির নাম, একটি আতঙ্কের নাম, একটি ধ্বংসের নাম। এ কারণে ১৯৫৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য সব সরকারের সময় চেষ্টা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইয়ুব খান, টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খান, ইন্দিরা গান্ধী সবাই এই চেষ্টা করেছেন। জিয়াউর রহমানও চেষ্টা করেছেন।

জিয়াউর রহমানের সময় থেকে আব্দুল মালেক উকিল, জোহরা তাজউদ্দীন, মিজানুর রহমান চৌধুরীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগে গ্রুপিং করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা ছিল। ৪ থেকে ৫টি গ্রুপে বিভক্ত ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু নেতাকর্মীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়েনি।


‘শনিবার গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন! টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল! আ. লীগকে কবর দেওয়ার নীলনকশা!’ শিরোনামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক বিশ্লেষণে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আঁতুরঘর খ্যাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন এবং পটুয়াখালীতে আমি মনোনয়ন পেয়েছিলাম। কিন্তু ফরিদপুরের ওই আসনে জাফর উল্যাহ চৌধুরী থাকায় দল আমাকে পটুয়াখালীতে মনোনয়ন দেয়। আমার কাছে মনে হয়, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার চেয়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন-ভাঙ্গা-সদরপুর এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা-দশমিনায় আওয়ামী লীগের প্রীতি অনেক বেশি।


তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার বিপদে পড়েছে। সেই বিপদ ’৫৪-এর মতো, ৭৯-এর মতো, ৭৫-এর মতো, ১৯৯১ সালের মতো, ১/১১-এর মতো। এখন সবাই আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে যারা টার্গেট করছেন, তারা টার্গেট করছেন বড় জোর আওয়ামী লীগের শরীরকে। আওয়ামী লীগের ঘৃণিত লোকদের আক্রমণ করার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে প্রীতি আছে সেখানে আঘাত করতে পারছেন না। নৌকার জায়গায় অন্য কোনো প্রতীকের প্রলেপ দেওয়া যাচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে মাত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন যদি টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করা হয়, যদি বঙ্গবন্ধুর মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়; তাতে কি আওয়ামী লীগ শেষ হবে? সেখানে কি ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান আসবে?’

 

তথ্য সুএঃ কালেরকন্ঠ