আজ শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্র ও এর শাসকদের প্রতি লেখক শিল্পীদের সার্বক্ষণিক নজরদারি অত্যাবশ্যক!

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
রাষ্ট্র ও এর শাসকদের প্রতি লেখক শিল্পীদের সার্বক্ষণিক নজরদারি অত্যাবশ্যক!

Sharing is caring!

আবেদীন কাদের 

আমার শ্রদ্ধেয় কথাশিল্পী ইসহাক খান কদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন যেখানে অধিকাংশ অতিথি ছিলেন নারী। এ বিষয়ে ইসহাক খান একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিন্তু আমার আরেক শ্রদ্ধেয় লেখক বোস্টন নিবাসী বদিউজ্জামান নাসিম সেই স্ট্যাটাসকে ধরে কিছুটা হালকা চালে নারী পুরুষ অথিথিদের সংখ্যার বৈষম্য উল্লেখ করে সাম্যতা দাবি করেছেন, যা বর্তমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমি সেখানে নাসিম ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছি, কিন্তু আমাদের ছাত্রদের আন্দোলনটি কোন অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করি না, বরং এই আন্দোলন আমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনকালে অপকর্মগুলোর প্রতিবাদ না করে ‘চেতনাজীবী’ লেখক শিল্পীরা কেমন করে তাঁদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে। পক্ষান্তরে তাঁরা আওয়ামী সরকারকে তোষামোদি করে আখের গুছিয়েছে।
আমি সেই স্ট্যাটাসে নাসিম ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্য লিখেছি। আমি লিখেছি, ‘যদিও আপনি ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত নারী পুরুষের সংখ্যার বৈষম্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, কিন্তু আমি একে রূপকার্থে নিয়ে শ্রদ্ধেয় বন্ধু কথাশিল্পী ইসহাক খানের প্রতি আর্জি রাখতে চাই, আমাদের লেখক শিল্পীদের সামাজিক বা রাজনৈতিক দায় বিষয়ে তাঁদের সজাগ হওয়া প্রয়োজন। রাজনীতিবিদদের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, কারণ সব দেশেই রাজনীতিকরা অবিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু আমাদের ইতিহাসে দেখা যায় বাঙালি মুসলমান রাজনীতিবিদরা, সবাই না হলেও অধিকাংশই পাক্কা হারামজাদা, তারা নিজেদের শাসনকালে চুরি চামারি, ভৃত্য-পালন ও তোষামোদকারী প্রতিপালন করে রাজকোষের পয়সা দিয়ে। আওয়ামী লীগের গত শাসনামল ছিল ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের কাল, এ বিষয়ে খুব বেশি কারও সন্দেহ নেই, কিন্তু আমাদের লেখক শিল্পী সাংবাদিকদের দায়িত্ব ছিল প্রতি মুহূর্তে সেই দুঃশাসনের বিরোধিতা করা। তারা বলতে গেলে তার কিছুই করে নি, বরং পুরস্কার, পদক, উপাধি, রাষ্ট্রীয় সুযোগ সবই ‘চেতনার’ নামে তারা বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে ও ফুলেফেপে স্ফীত হয়েছে। অপরাধী রাজনীতিবিদদের আগে এই ‘চেতনাজীবী’ লেখক শিল্পী সাংবাদিকদের ধরে রাজপথে চাপকানো দরকার, যাতে এই ঘটনা থেকে পরে সবাই শিক্ষা নেয়! কারণ এখনও অনেকে প্রস্তুত হচ্ছে পরবর্তী সরকারের চামচা হয়ে আখের গোছাতে। গত আওয়ামী শাসনকালে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী উদযাপনে যে বিপুল অর্থ রাজকোষ থেকে ব্যয় করা হয়েছে, এর সঙ্গে যে-লেখক শিল্পীরা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয়ের হিশেব জনসমক্ষে হাজির করে দেখানো উচিৎ এর কোন তসরুপ হয়েছে কিনা! হয়ে থাকলে অপরাধী লেখক শিল্পীদের বিচার হওয়া জরুরি! কারণ এই অপরাধের বিচার না হলে, আবার একই অপরাধ ঘটবে এবং অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাবে!’