আজ সোমবার, ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসিতে সীমানা শুনানির সময় রুমিন ফারহানাকে ধাক্কা, হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৪, ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ
ইসিতে সীমানা শুনানির সময় রুমিন ফারহানাকে ধাক্কা, হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

Oplus_16908288

Sharing is caring!

সদরুল আইনঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে শুনানির সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, তাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে এনসিপি অভিযোগ করেছে, রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে তাদের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী ও মুস্তফা সুমনকে মারধর করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুমিন ফারহানাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দেন। আমি তো একা একজন নারী। স্বাভাবিকভাবেই আমার লোকজন চুপ করে থাকবে না।

পরে ওই ব্যক্তি আবার তেড়ে আসেন, ফলে আমার অনুসারীরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপি নেতারা বহিরাগত লোকজন নিয়ে কমিশনে এসেছিলেন। তার ভাষায়, তারা ধাক্কা দিয়েছে, ফলে ধাক্কার জবাবও এসেছে। এর বাইরে আর কিছু হয়নি।

অন্যদিকে এনসিপি নেতা প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী দাবি করেন, আমরা ইসিতে দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু রুমিন ফারহানার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনেই আমাদের পেটানো হয়েছে।

আতাউল্লাহ বলেন, ‘শুনানিতে রুমিন ফারহানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। কিন্তু যখন আমি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে যাই, তখন রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে স্টেজ দখলে নেন।

পরে তার নেতা-কর্মীরা আমাকে ফুটবলের মতো লাথি দেওয়া শুরু করে। যেভাবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ক্যাম্পাসে পিষতো, সেভাবে সবার সামনে আমাকে নিচে ফেলে পিষছে। আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেছে। হাতে আঘাত করা হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশন তখন কী করেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন তখন আর কাউকে কথা বলতে দেয়নি। বিএনপি ছাড়া শুনানিতে জামায়াতে ইসলামীকেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

ঘটনার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। শুনানি চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক থেকে হাতাহাতিতে রূপ নেয়, যা পরে ইসির নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে আনেন।