Sharing is caring!
অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (শুক্রবার): হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকায় পৌঁছেছেন পুত্রবধূ ডা.জুবাইদা রহমান।
আজ (শুক্রবার) বেলা পৌনে ১১টায় ডা. জুবাইদাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
তিনি আরও জানান, জুবাইদা রহমান সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান। সেখান থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
বিমানবন্দরে ডা. জুবাইদা রহমানকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জুবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান এবং মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে (বিজে-৩০২) ডা. জুবাইদা রহমান দেশের পথে রওনা হন।
এদিকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।’
১৩ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁকে নিয়ে দেশের মানুষ উদ্বেগে রয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে কাতারের আামির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন তিনি।
চিকিৎসা শেষে চার মাস পর গত ৫ মে একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন তাঁর সঙ্গে দেশে এসেছিলেন পুত্রবধূ জুবাইদা। ১৭ বছর পর দেশে এসে একমাস থাকার পর গত ৫ জুন আবারও লন্ডনে ফিরে যান তারেক রহমানের স্ত্রী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে যান।বাসস