গণজাগরণ মঞ্চের ঘটনার পর থেকে শাহবাগ শব্দটাই বিতর্কিত হয়ে উঠেছে, সেখানে আরেকটা শাহবাগ তৈরি করতে চাওয়া নিতান্তই বোকামি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
শুক্রবার (৯ মে) রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, গতকাল আওয়াজ উঠলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ছাড়া যমুনা ছাড়া হবে না, বাহ! উপদেষ্টা পরিষদ মাথার ওপর হাত বুলাতেই যমুনা ছেড়ে শাহবাগ! রাজনৈতিক দল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যমুনার কথা বলে ডেকে এনে ছেড়ে দেওয়া হলো শাহবাগে নিয়ে!
জনগণের সঙ্গে কমিটমেন্ট করে না রাখতে পারার মতো প্রতারণা আর কি আছে?
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বাদে জাতীয় সংলাপ ডেকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিতে হবে, বরং আজকে যমুনা ঘেরাও করে আরও বহু অংশীজনকে, ভবিষ্যৎ যমুনা ঘেরাওয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার পথ দেখানো হলো।
আজ যেভাবে সরকার কর্তৃক ঠান্ডা পানি সাপ্লাই ও পানি স্প্রে করে আন্দোলনকারীদের আরাম দেওয়া হলো, ভবিষ্যতেও কি একই রকম আরামের সুযোগ পাবে আন্দোলনকারীরা নাকি তাদের জন্য গরম পানি, পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার অপেক্ষা করছে?
আর হ্যাঁ, যমুনা বা তার আশপাশে না সভা-সমাবেশ করা যাবে না মর্মে ডিএমপি নিষেধাজ্ঞা করেছিল, সেটাও কি তাহলে আজকের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল?
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র জনতা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিলেও আজ বিকেলে শাহবাগ মোড়ে ব্লকেড করে তারা। এ কর্মসূচি এখন পর্যন্ত চলমান আছে।
একমাত্র বিএনপি ও বাম সংগঠন ছাড়া জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠন এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মসূচি পালন করছে।