Sharing is caring!

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে রবিবার (২৮ অক্টোবর)। শুভ মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে দেবী বরণের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ ইতোমধ্যে শেষে রং তুলির শেষ আঁচড়। মৃৎ শিল্পীদের চলছে ব্যস্ততার মধ্যে রং-তুলির আঁচড় শেষে প্রতিমা মণ্ডপে নেয়ার প্রস্তুতি।
দুর্গোৎসবে মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে সাজসজ্জায় নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে পেন্ডেলজুড়ে। বিভিন্ন মন্দিরে চলছে থিমভিত্তিক সাজসজ্জার কাজ। সারাদেশে বইছে উৎসবের আমেজ। সায়ংকালে ধূপের ধোঁয়া, ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি আর কাঁসর-মন্দিরার সঙ্গে ভক্তিমন্ত্রে মেতে ওঠার অপেক্ষায় পূজামণ্ডপ।
সরকারি হিসাবে এ বছর মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলা জুড়ে ১০১০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। রবিবার (২৮শে সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। এরপর মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও (২রা অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের সমাপ্তি।
কৈলাশ থেকে এ বছর দেবী দুর্গার মর্ত্যেলোকে গজে আগমন করবেন ও ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে স্বর্গলোকে।
সরেজমিনে জেলা শ্রীমঙ্গল উপজেলার মৃৎশিল্পীদের দ্বারস্থ হয়ে দেখা মিলে রং তুলির আঁচড়ে স্বামী স্ত্রী সহ সকলে মিলে প্রতিমার শেষ আঁচড়টি দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে রাত জেগে। কথা হয় মৃৎ শিল্পী সুজিত পাল বলেন, তিনিসহ বড় ভাই বৌদি পিতা সহ সবাই রাত জেগে কাজ শেষ করতে হচ্ছে। তিনি ২২ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার রেখে কাজ করেছেন মোটামুটি এখন শেষ পর্যায়ে। কথা হয় নারী মৃৎ শিল্পী লতা রানী পাল ও সহযোগিতা করছেন স্বামীকে এজন্য রাত জেগে রং তুলির শেষ আঁচড়ের কাজ চলছে।
অন্য আরেক মৃৎ শিল্পী সুনীল কুমার পাল বলেন,আমরা ১২ টি মন্ডপের প্রতিমা তৈরি করেছি। রাত জেগে কাজ শেষ করতে হচ্ছে প্রতিমা স্থাপনের জন্য মন্ডপে নেওয়ার পালা। তিনি আরও বলেন বিগত ১৩ বছর যাবৎ এ শিল্পের সাথে জড়িত। বাপ দাদারা করতেন তাদের থেকে আমরা এ কাজের সাথে যুক্ত হয়েছি। এ শ্রীমঙ্গল উপজেলা জুড়ে সার্বজনীন ১৫৭টি ও ১৩টি ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১৭০টি মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে।