আজ শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনগর গভীর রাতে যোদ্ধাহত মৃত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের ঘরে ঢোকে ছিনতাই: বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ণ
রাজনগর গভীর রাতে যোদ্ধাহত মৃত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের ঘরে ঢোকে ছিনতাই: বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

মো: জাফর ইকবাল:

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কোনাগাঁয়ে গভীর রাতে বেড়া কেটে যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধ মৃত আব্দুল আজিজ এর মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আশ পাশের মানুষ ছিনতাইকারীকে আটক করলে তাদের অভিবাবক জোর পুর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভিকটিমদের পিতা আমিনুল হক বাদী হয়ে রাজনগর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানাযায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ৬ নং টেংরা ইউপির মো: আমিনুর হকের বাড়িতে শুধু তার ভাতিজার স্ত্রী ও কলেজে পড়োয়া ৩ মেয়েকে রেখে তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লায় চলে যান। ঐদিন গভীর রাতে ইয়াছিন মিয়া ছেলে সুমেল মিয়া (২২), জুনেদ মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমদ (২০) গভীর রাতে কাঁচা ঘরের বেড়া ভেঙ্গে অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে ধারালো স্টেপ চাকু দেখিয়ে ৬ আনা স্বর্ণের চেইন, রুপার বেসলেট, রুপার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের চিৎকারে আশ পাশের মানুষ এসে সুমেল মিয়া, জুবায়ের আহমদ আটক করে।

Manual2 Ad Code

ঘাটনার খবর পেয়ে জুবায়ের আহমদ এর পিতা জুনেদ মিয়া ঘটনা স্থলে তার লোকজন নিয়ে এসে তাদেরে জোর পুর্বক নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার ইউপি মেম্বার মন্নান খাঁ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনা অবগত হয়ে স্থানীয় ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। উল্টো যারা ঘটনা স্থলে ওদেরে আটক করেন তাদেরে সুমেল মিয়া, জুবায়ের আহমদ ও তার পিতা জুনেদ মিয়ার নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।

কোনাগাঁও গ্রামের পাশের বাড়ির অলিদ মিয়া, আল আমিন মিয়া দুই ভাই বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টা হবে আমরা বাহিরে মোবাইল দেখতে ছিলাম। হাল্লা চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে ঘরের বাহিরে সুমেল মিয়া, জুবায়ের আহমদকে পাই। এলাকার আরো মানুষ এসে ওদেরে আটক করেন। পরে জুবায়ের আহমদ এর পিতা জুনেদ মিয়া এসে তাদের জোর পুর্বক নিয়ে যায়। এখন আমাদেরে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।

Manual6 Ad Code

ভিকটিম কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া খানম, পিংন্কি খানম ও তাদের ভাবী মৌসুমী বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আব্বা আম্মাকে নিয়ে মামার বাড়ি কুমিল্লা চলে যান। বাড়িতে শুধু আমরা মহিলা মানুষ। গভীর রাতে আমাদের কাঁচা ঘরের বেড়া ভেঙ্গে সুমেল মিয়া, জুবায়ের আহমদ ঘরে প্রবেশ করে। আমরা শব্দ পেয়ে বাতি জ্বালালে তারা স্টেপ চাকু দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। বাহিরে আরো ২/৩ জনের কথা শুনা যায়। এসময় আমাদের সোনার চেইন, রুপার বেসলেট ও রুপার চেইন কেড়ে নেয়। আমরা হাল্লা চিৎকার করলে ওরা ঘরের দরজা খোলে বাহিরে চলে যায়। আশ পাশের মানুষ এসে ওদেরে আটক করে। পরে জুনেদ মিয়া তার লোকজন নিয়ে এসে জুবায়ের আহমদ ও সুমেল মিয়াকে নিয়ে যায়।

আমিনুল হক বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর আমি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লতে রওয়ানা হই। রাতে গাড়ীতে থাকা অবস্থায় ঘটনার খবর পাই। এলাকার মেম্বার ও গন্যান্যমান ব্যক্তিদেরে মোবাইল ফোনে জানাই। ওরা স্থানীয় ভাবে দেখে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বাড়িতে এসে কোন সুরাহা পাইনি। এব্যাপারে রাজনগর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ওরা প্রভাবশালী হওয়ায় হমকি ধামকি দিতেছে। আমি আমার ৬ মেয়ে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

৬ নং টেংরা বাজার ইউপি সদস্য মন্নান খাঁ বলেন, ঘটনাটি শুনার পর এলাকার মুরব্বিয়ানদেরে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু অভিযুক্তরা বিষয়টি পাত্তা দিচ্ছেন না। তাই আমিনুল হককে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

Manual7 Ad Code

অভিযোক্ত জুনেদ মিয়ার মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করার পরও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাসেল বলেন, আমাদের থানায় অভিযোগ হয়েছে।বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখে আইনি পদক্ষেপ নেবো।

Manual5 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code