আজ বুধবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা খুলে যাচ্ছে আগামী কাল

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ণ
সরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা খুলে যাচ্ছে আগামী কাল

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code

টাইমস নিউজ 

Manual4 Ad Code

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) থেকে খুলবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস। খুলবে ব্যাংক বিমা ও আদালত। যদিও বেসরকারি অফিস খুলেছে আগেই। এখন থেকে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে অফিস- আদালত চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

ইতোমধ্যেই ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার এই যাত্রা ছিল অনেকটাই নিবিঘ্ন। সরকারি কর্মজীবীরা এবারের ঈদে সাপ্তাহিক ছুটি ও নির্বাহী আদেশে পাওয়া অতিরিক্ত ছুটি মিলিয়ে টানা ৯ দিনের অবকাশ উপভোগ করেছেন। সেই হিসাবে শনিবার (৫ এপ্রিল) সেই ছুটির আনুষ্ঠানিক ইতি ঘটেছে। আবারও চিনচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা।

Manual8 Ad Code

ঈদের আগে গত ২৮ মার্চ থেকে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হলেও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটিকে কেন্দ্র করে এবার ঈদের ছুটি শুরু করেন অনেকে। কারণ ২৭ মার্চ এক দিনের জন্য অফিস খোলা থাকলেও তা কর্মচারীদের কাছে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি।

এর আগে গত ২০ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গত ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এজন্য টানা ৯ দিনের ছুটি মেলে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে গত ৩১ মার্চ দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

Manual4 Ad Code

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি। ঈদের আগের দুই দিন ২৯ ও ৩০ মার্চ (শনিবার ও রবিবার) এবং ঈদের পরের দুই দিন ১ ও ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ছিল। ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। অপরদিকে, ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করায় সরকারি চাকরিজীবীরা এবার টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করছেন। কারণ, ৩ এপ্রিলের পরের দুই দিন ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক বন্ধ।

Manual1 Ad Code

সব মিলিয়ে টানা ৯ দিন ছুটি ভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস এসে পৌঁছাচ্ছে একের পর এক। প্রতিটি বাসেই ছিল যাত্রীদের ভিড়, সবার চোখেমুখে ঈদের আনন্দের রেশ। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে ব্যাগ-লাগেজ হাতে নিয়ে ছুটছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার খোঁজে। বেসরকারি চাকরিজীবীদের কেউ সরাসরি অফিসের উদ্দেশে, কেউবা বাসায় ফিরছেন আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে।

ফেরত আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রা ছিল তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক। একই চিত্র দেখা গেছে— সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে হাজার হাজার যাত্রী রাজধানী ঢাকায় ফিরেছেন। অন্য সময় সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও গত কয়েক দিনে এ চিত্র ভিন্ন। সদরঘাটে এখন মানুষের কোলাহলে পরিপূর্ণ। এ অবস্থা থাকবে আরও কয়েকদিন। দক্ষিাঞ্চলের মানুষের কাছে এখনও লঞ্চের ভ্রমণ বাসের তুলনায় কম খরচের। একইসঙ্গে আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়কও বটে।

তবে ফিরতি যাত্রায় ভাড়া বেশি নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। এ প্রসঙ্গে বাস ও লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটির শেষ দিন হওয়ায় আজ রাজধানীমুখী যাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা জানান, গত দুই দিন ধরেই যাত্রীরা ফিরতে শুরু করলেও আজ ছিল যাত্রার মূল চাপ। সকাল থেকে আসা প্রতিটি ট্রিপেই যাত্রী ছিল পরিপূর্ণ।

রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি অফিস-আদালতসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। ফলে বিকালের পর ঢাকায় ফিরতি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা।

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code