আজ বৃহস্পতিবার, ৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

editor
প্রকাশিত জুন ৩, ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ণ
জুড়ীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

Sharing is caring!

সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী থেকেঃ

“শিশু থেকে প্রবীণ পুষ্টিকর খাবার সর্বজনীন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এবং জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাস্তবায়নে গত ২৮ মে থেকে শুরু হয়ে ৩ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সমরজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল আলম খান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাশ চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার তাহমিনা চৌধুরী, তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ আহমেদ, হযরত শাহখাকী (র:) আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াকুব আলী, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি আদনান চৌধুরী সহ অনেকেই।

জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে গত ২৮ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য ছিলো- মা সমাবেশ, প্রবীণ ও সুশীল সমাজের মধ্যে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা, এতিম শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ, খাদ্য বিতরন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাঙ্গন ও কুইজ প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের নিয়ে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

সভায় বক্তারা পুষ্টিমানে সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, খাদ্য উৎপাদন, পরিবহন, সংরক্ষণ ও রান্নায় পুষ্টিমান এবং নিরাপদতা বজায় রাখার আহবান জানান। এছাড়া খাবারে চিনি ও লবণের মাত্রা সীমিত রাখা, অতিরিক্ত ভাজা, তৈলাক্ত খাবার ও ফাস্টফুড বর্জন করা, শিশুদেরকে অতিপ্রক্রিয়াজাত পানীয় ও খাবার গ্রহণ থেকে বিরত রাখা, শিশুর বৃদ্ধির বিকাশ এবং শারীরিক গঠনের জন্য প্রতিদিন ১টি করে ডিম এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার প্রদান, পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা, প্রতিদিন অন্তত একবেলা ডিম, দুধ বা আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারুপ করেন।