আজ বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে সচেষ্ট হতে হবে- খান মো. রেজা-উন-নবী

editor
প্রকাশিত জুলাই ২, ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে সচেষ্ট হতে হবে- খান মো. রেজা-উন-নবী

Sharing is caring!

সিলেট ডেস্ক:
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, মাদকাসক্তির দিকে পা বাড়ানোর প্রথম ধাপ হচ্ছে ধূমপান। কাজেই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যকে মাদক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সামাজিকভাবে এ ধরণের আসক্তিকে বর্জন করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য এবং সামাজিক বিভিন্ন অবক্ষয় নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে সচেষ্ট হতে হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং পারিবারিক বন্ধনের উপর গুরুত্বারোপ করে খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, মসজিদে খুতবা বা বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনায় আলেমগন ধূমপান ও তামাকের কুফল সম্পর্কে আলোকপাতের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি আরো বলেন, ইচ্ছাশক্তি ও নৈতিক চেতনা জাগ্রত করে ধূমপানের প্রতি ঘৃণাবোধ নিয়ে আসলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ধূমপান কিংবা তামাকের প্রতি আসক্তি এক নিমিষেই দূর করা সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে এই আসক্তি কমিয়ে আনতে হবে। রাষ্ট্র ও জনগনের জন্য যা কল্যাণকর, সকলে তা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রিতিষ্ঠানের প্রধাণগন এবং পরিবহন সমিতির নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মো. আনিসুর রহমান। এছাড়াও সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এম.আর.সি.পি (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) ডাঃ হালিমা আক্তার এবং সিলেট জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিচালক মলয় ভূষণ চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা এবং আলোচনায় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের উপর ধূমপান ও তামাকের নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে এগুলো নিয়ন্ত্রণে বক্তারা বিভিন্ন প্রস্তাবনা পেশ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইন কার্যকর করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি করা, ধূমপান ও তামাকের ঝুঁকি সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানো এবং পরিবারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরাও বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।