Sharing is caring!

এম.এ.মান্নান,নাগরপুর(টাংগাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাতিলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তির মধ্যে ছিলেন এলাকাবাসী।যাতায়াতের কোনো রাস্তা না থাকায় স্কুল, হাটবাজার কিংবা হাসপাতালে যেতে হতো অনেক কষ্টে।এই সংকট সমাধানে এলাকাবাসী নিজেরাই এগিয়ে আসেন এবং একটি দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গ্রামের মানুষ নিজেরাই এই রাস্তায় প্রয়োজনীয় জমি স্বেচ্ছায় দান করেন এবং বিনা পারিশ্রমিকে মাটি ফেলে রাস্তাটি দৃশ্যমান করেন।
এই জনভিত্তিক উদ্যোগে ৭ জুলাই, সোমবার সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নাগরপুর উপজেলা শাখার একটি প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন উপজেলা সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সেক্রেটারি আব্দুল হাকিম, অফিস সম্পাদক হাফেজ আব্দুল কাদের এবং বায়তুলমাল সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মাহিন।
পরিদর্শনকালে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের এ স্বেচ্ছাশ্রমের প্রশংসা করেন। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে রাস্তা নির্মাণে কর্মরতদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।
এ সময় উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন- এলাকাবাসীর এই উদ্যোগ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। যেখানে সরকারিভাবে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি, সেখানে নিজেরাই জমি দান করে ও শ্রম দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছেন- এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময়ই জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকবে। আজ আমরা শুধু পাশে দাঁড়াতে নয়, মানুষের এই চেতনায় সম্মান জানাতে এসেছি।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,আমরা বছরের পর বছর কষ্ট করেছি। রাস্তা না থাকায় রোগী নেওয়া, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো—সবই ছিল দুঃসাধ্য। তাই ভাবলাম, আর না। গ্রামের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই নিজেরাই রাস্তা করবো। ছাত্রশিবিরের ভাইয়েরা যেভাবে এসে আমাদের উদ্যোগের প্রশংসা করলেন, পাশে দাঁড়ালেন, সেটা আমাদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করি, সরকারও এখন নজর দেবে।”
স্থানীয় জনগণ ছাত্রশিবিরের এ অংশগ্রহণে খুশি প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন—এই রাস্তাটি অচিরেই পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী হবে এবং এলাকাবাসীর জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন আনবে।
এমন উদ্যোগ প্রমাণ করে, সংগঠিত নাগরিক উদ্যোগ ও যুব নেতৃত্ব সমাজ পরিবর্তনে কতটা কার্যকর হতে পারে।