আজ মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানাখন্দে সড়কে দূর্ভোগে সাধারণ মানুষ

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ণ
খানাখন্দে সড়কে দূর্ভোগে সাধারণ মানুষ

Sharing is caring!

তিমির বনিক:
মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মৌলভীবাজার-কাগাবলা ও মৌলভীবাজার-শমশেরগঞ্জ সড়কে থমকে গেছে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের চরমে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারী ট্রাক ও কার্গোভ্যান চলাচল করায় অপেক্ষাকৃত কম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙেচুরে জনসাধারণের যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে কাগাবলা ও শমশেরগঞ্জ বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। গ্রামীণ জনপদের এই দুই রাস্তা ব্যবহার করে সদর উপজেলার আমতৈল, কাগাবলা, নাজিরাবাদ ইউনিয়নের একাংশের মানুষ ও নিকটবর্তী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর, ভুনবীর ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর এবং পানিউমদা ইউনিয়নের মানুষ মৌলভীবাজারে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাগুলোর দীঘিরপাড়, অলহা, সূর্যপাশা, আথানগিরি, ধনদাশসহ বিভিন্ন এলাকায় খানা-খন্দে ভরা। ফলে ছোটবড় যানবাহন যাতায়াতে সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অন্যদিকে খানা-খন্দে পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। রাস্তার বেহাল দশার কারণে আধা ঘণ্টার রাস্তা এক ঘণ্টায় পাড়ি দিতে হয় বলে জানান প্রাণ ফুডের টেম্পু চালক মিলন মিয়া।
দীঘিরপাড় বাজারের পল্লি চিকিৎসক জগদীশচন্দ্র দে জানান, বছরখানেক ধরে রাস্তার এই বেহাল দশা। সিরিয়াস কোন রোগী নিয়ে যাতায়াতে ভুক্তভোগীরা বেকায়দায় পড়েন। বিশেষ করে, গর্ভবতী রোগী হলে তো কষ্টের সীমা অন্তহীন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ে পড়ুয়া ছাত্র ওই এলাকার জীবন দে পলাশ বলেন, রাত-দিন ইট বহনকারী ভারী যানবাহন ও কাজী ফার্মের ডিম এবং ফিড বহনকারী কাভার্ডভ্যান চলাচল করায় রাস্তার এ হাল হয়েছে। এ বেহাল দশা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
এলজিইডি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসাইন বলেন, গত জুলাই মাসে ভেঙে পড়া রাস্তা দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায় সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হাতে আসলে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।