Sharing is caring!
স্বপন কুমার সিং, হবিগঞ্জঃ
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বড়গাঁও গ্রামে অবস্থিত শ্রী শচীমাতা স্মৃতি তীর্থ আনন্দ ধামে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো হাজার ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান। দামোদর ব্রত উপলক্ষে দিনভর চলে ভজন, কীর্তন, ভাগবত আলোচনা ও প্রার্থনা। ভক্তদের উপস্থিতিতে ধাম প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ভক্তদের একটি দল সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দির থেকে পায়ে হেঁটে (ব্রজপদে) যাত্রা শুরু করেন। তাঁরা ঢাকা দক্ষিণে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নিত্যলীলা ভূমিতে পৌঁছে কীর্তন ও সেবায় অংশ নেন। পরে বিকেলে তারা আবার শচীমাতা স্মৃতি ধামে ফিরে আসেন।
ব্রত পালনকারী শচীমায়ের ভক্তরা জানান, দামোদর মাসে তারা ২৪ ঘণ্টা হরিনামের জপ, উপবাস, ভাগবত পাঠ এবং সেবাকাজে নিয়োজিত ছিলেন।
কেউ ফলাহার করেছেন,গোমূত্র বা গোছেনা, পঞ্চগব্য,(বেদ বা পুরানে উল্লেখ আছে গো সম্পর্কিত উপাদানগুলোকে শুদ্ধি, পবিত্রতা, সুভাগ্য বয়ে আনার প্রতীক বলা হয়েছে) কেহ অভিষ্যন্ন,বাকিরা সবাই নিরামিষ ভোজন করেছেন এবং কেউ কেউ ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকরণের প্রতীকী অনুষ্ঠান করেছেন।
দীর্ঘ ভজন, কীর্তন ও পদযাত্রা সত্ত্বেও ভক্তরা ক্লান্ত হননি। তাদের মতে—“ভগবান নামের শক্তি এবং শচীমায়ের কৃপা আমাদের শক্তি দিয়েছে। ক্লান্তি নেই।”
শচীমাতা স্মৃতি তীর্থ ধামের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ সর্বেশ্বর গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী বলেন,“এই ধামে দামোদর ব্রত পালন শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও প্রেমের পথ। শ্রীজগন্মাতা শচীদেবী কীভাবে ভক্তের জীবন বদলে দেন, তার বাস্তব প্রমাণই আজকের দিন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভক্তরা মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে শচীমাতার আবির্ভাব ইতিহাস ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে এবং এই তীর্থভূমি ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।রাতে হাজারও প্রদীপ জ্বালানো হলে পুরো তীর্থ এলাকা আলোকময় হয়ে ওঠে।হরিনামসংকীর্তন, প্রার্থনা ও ভক্তদের আত্মসমর্পণমূলক সেবায় শেষ হয় অনুষ্ঠান।
দামোদর মাসে ভক্তদের ব্রত পালন: শচীমাতা ধামে আধ্যাত্মিক উৎসব ভজন–কীর্তনে মুখর শচীমাতা স্মৃতি তীর্থ, প্রদীপে আলোকিত বড়গাঁও শচীমায়ের বাড়ি সকলভক্তদের মাঝে যেন আনন্দের সীমা নাই।