Sharing is caring!
দোয়েল,বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসরা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে সংঘটিত এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড জাতির ইতিহাসে এক গভীর বেদনাবিধুর অধ্যায়।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০টায় উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে শহিদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের অফিসার মনসুর আলীর সঞ্চালনায় শুরুতেই কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম ও গীতা পাঠ করেন শিক্ষক পরিমল চন্দ্র।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মামুনুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অফিসার ইনচার্জ সেরাজুল ইসলাম, মুক্তি যোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, প্রভাষক আলী আজম, প্রধান শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাঘা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ মিঞা, শিক্ষার্থী নওশীন ইয়াসমিন, নাফিস ইকবাল ও ফাতেমা কনক। বক্তারা বলেন, যাদের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এসব ষড়যন্ত্র স্বাধীন দেশের গনতন্ত্র কামী মানুষের কল্যাণ বয়ে আনছে না। আমরা যদি অতীতের শিক্ষা থেকে দেশের কল্যাণে ভালো কাজ করতে পারি তাহলে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের আত্মা শান্তি পাবে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বুদ্ধিজীবীদের প্রয়োজন কখনোই ফুরিয়ে যায় না। এই হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে ধ্বংস করার একটি সুপরিকল্পিত কূটচাল, যা ইতিহাসের বিচারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত।
জাতি আজ শহীদদের আত্মত্যাগের আদর্শকে ধারণ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শপথ নিচ্ছে ।উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অফিসার তহুরা হক,সমাজ সেবা অফিসার মাসুদ রানাসহ উপজেলা দপ্তরের প্রধান,বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গনমাধ্যমকর্মী।