আজ শুক্রবার, ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে প্রাক-বড়দিন উদযাপন ও শীতবস্ত্র বিতরণ

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual3 Ad Code
সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী থেকেঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের এলবিনটিলা খাসিয়া পুঞ্জিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ”কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ” এর অর্থায়নে পরিচালিত মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে প্রাক-বড়দিন উদযাপন ও বার্ষিক উপহার সামগ্রী-শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এলবিনটিলা খাসিয়া পুঞ্জিতে অনুষ্ঠিত প্রাক-বড়দিন উদযাপন ও বার্ষিক উপহার সামগ্রী-শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে লুমডনবক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এলডিএফ) চেয়ারম্যান মিসেস লাভলী সুছিয়াং এর সভাপতিত্বে এবং প্রকল্পের সমাজকর্মী মাইকেল নংরুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা প্রশাসক ও জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সেলু, প্রকল্প সমন্বয়কারী (পিডিএ) ডেন্টিনা মারলিয়া, ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, এলবিনটিলা খাসিয়া পুঞ্জির প্রধান (মান্ত্রী) এন্টনি পাটুয়াট, এলবিনটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহীন আহমদ, প্রকল্পের চেয়ারম্যান সুউইং আমলেনরং, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডিকো সুরং, ইউপি সদস্য উত্তম গোষামী, এলবিনটিলা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি হরগোবিন্দ গোষামী প্রমুখ।
এসময় প্রকল্পের ১৭৯ জন উপকারভোগীর মধ্যে বার্ষিক উপহার সামগ্রী-শীতবস্ত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জুড়ী উপজেলা প্রশাসক ও জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।
পরে এলবিনটিলা খাসিয়া পুঞ্জির মেয়েদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জুড়ী উপজেলা প্রশাসক ও জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে শিশুর সঠিক বিকাশে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এলবিনটিলা খাসিয়া পুঞ্জি ও ফুলতলা চা-বাগান এলাকায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ”কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ” এর অর্থায়নে পরিচালিত মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুর সঠিক বিকাশের ওপর কাজ করছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়। তাই শিশুর খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য-সেবা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করনে এই প্রকল্প অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
লুমডনবক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এলডিএফ) চেয়ারম্যান মিসেস লাভলী সুছিয়াং বলেন, কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। দারিদ্র্যপীড়িত শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে থাকি। সকল শিশুকে স্বীকৃতি ও ভালবাসা দিতে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি দারিদ্র্য এমন একটি জটিল সমস্যা, যা সমাধান করতে হলে একজন শিশুর জীবনের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিকাশ সাধন করা প্রয়োজন। ফলশ্রুতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রতিটি শিশুদের ও তাদের পরিবারের প্রেক্ষাপট অনুসারে তাদের শারীরিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নৈতিক বিকাশের সমন্বয় করি।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code