আজ শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে নারী দিবসে গর্জে উঠলেন চা শ্রমিকরা: র‍্যালি ও সমাবেশে ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি

editor
প্রকাশিত মার্চ ৮, ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গলে নারী দিবসে গর্জে উঠলেন চা শ্রমিকরা: র‍্যালি ও সমাবেশে ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি

Sharing is caring!

Manual6 Ad Code
তাপস দাশ শ্রীমঙ্গল:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৮ মার্চ) শ্রীমঙ্গলের মৌলভীবাজার রোডস্থ লেবার হাউসে চা শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত র‍্যালি ও সমাবেশ এক অনন্য উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। নারী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক নারী শ্রমিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদিকা রেখা বাক্তির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান বক্তারা শ্রমজীবী নারীদের জীবনমান উন্নয়ন, ন্যায্য মজুরি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, নারীরা চা শিল্পের অন্যতম চালিকা শক্তি হলেও, তারা এখনও নানা রকম বৈষম্যের শিকার। ন্যায্য পারিশ্রমিক ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালিশিরা ভ্যালির সহ-সভাপতি সবিতা গোয়ালা, সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ, চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা এবং কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালেন্দি।
বক্তারা বলেন, নারী শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। চা শিল্পে নারীদের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হলেও, তাদের শ্রম যথাযথ স্বীকৃতি পাচ্ছে না।
সমাবেশ শেষে নারী শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি বিশেষ সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শ্রমিক নারীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, নারী দিবস উদযাপন শুধু এক দিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি নারী শ্রমিকদের অধিকারের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনের অংশ। তারা প্রতিশ্রুতি দেন, শ্রমজীবী নারীদের কল্যাণে ইউনিয়নের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের কর্মসূচি নারী শ্রমিকদের সচেতন করে তুলবে এবং তাদের অধিকার আদায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, একদিন এই প্রচেষ্টা শ্রমজীবী নারীদের জন্য একটি ন্যায্য ও মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code