আজ শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর পরিশোধে মিলছে ডাস্টবিন কালীগঞ্জে পরিচ্ছন্নতা সচেতনতায় পৌর প্রশাসকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ
কর পরিশোধে মিলছে ডাস্টবিন কালীগঞ্জে পরিচ্ছন্নতা সচেতনতায় পৌর প্রশাসকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

Sharing is caring!

Manual8 Ad Code

তৈয়বুর রহমান ( কালীগঞ্জ) গাজীপুর

পৌর কর আদায়ে জনসচেতনতা ও নগর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ গ্রহণ করেছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ। পৌর কর পরিশোধকারীদের জন্য চালু করা হয়েছে বিনামূল্যে ডাস্টবিন বিতরণ কর্মসূচি।

Manual2 Ad Code

এই কর্মসূচির আওতায় পৌর কর পরিশোধ করে হোল্ডিং মালিকরা পাচ্ছেন একটি করে ছোট আকারের ডাস্টবিন। শুধু বাসাবাড়ি নয়, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোকেও দেওয়া হচ্ছে মাঝারি মাপের ডাস্টবিন। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে বড় ডাস্টবিন। আর এই উদ্যোগে পৌরসভার কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও স্থানীয়রা সক্রিয়ভাবে সহযোগীতা করছে।

Manual6 Ad Code

পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, কালীগঞ্জে মোট ১০ হাজার ৫০০ হোল্ডিংয়ের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ হাজার ছোট ও ৪০০ মাঝারি ডাস্টবিন বিতরণ করা হয়েছে। পৌরবাসীরা তাদের কর পরিশোধ রসিদের ফটোকপি জমা দিয়ে পৌরসভা থেকে ডাস্টবিন সংগ্রহ করছেন।

Manual3 Ad Code

এই উদ্যোগের ফলে এখন পর্যন্ত পৌরসভা প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বকেয়া কর আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও পৌরসভার মোট বকেয়ার পরিমাণ এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা, তবুও এই কার্যক্রম কর আদায়ে নতুন গতি এনেছে বলে জানায় পৌর কর্তৃপক্ষ।

পৌরবাসীরা জানিয়েছেন, এখন তারা ময়লা যত্রতত্র না ফেলে নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলছেন। এতে শহরের পরিবেশ সুন্দর দেখাচ্ছে এবং কর পরিশোধে আগ্রহও বেড়েছে।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান জানান, “এই কার্যক্রম জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমরা ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখবো।”

Manual4 Ad Code

এদিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু পৌর কর আদায় নয়, পরিচ্ছন্নতা ও নাগরিক সচেতনতাও বাড়িয়েছে। আমরা চাই কালীগঞ্জ একটি মডেল পৌরসভায় পরিণত হোক।”

পৌর প্রশাসক তনিমা আফ্রাদ বলেন, “কালীগঞ্জে দায়িত্ব নেওয়ার পর লক্ষ্য করি এলাকাটি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই অপরিচ্ছন্ন। তাই নাগরিকদের সচেতন করা এবং পৌরসভাকে সম্পৃক্ত রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা বাড়ালে মানুষ শুধু নিজের ঘর নয়, নিজের শহরকেও পরিচ্ছন্ন রাখবে। পাশাপাশি পৌর কর আদায়ের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিচ্ছন্নতার মানও উন্নত হয়েছে।”

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code