Sharing is caring!

রাজু সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণার লক্ষ্যে নারী ও শিশুর অধিকার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সহায়তায় বুধবার (৯ জুলাই) কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজাদ মিয়া। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার উত্তম দাস, ‘চেঞ্জ’ প্রকল্পের অফিসার মোছা. রেখা খাতুন, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন কাজী মো. আমজাদ হোসেন, কঞ্চিপাড়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোহান আজাদ মন্ডল, ইউপি সদস্য মো. আ. খালেক, কঞ্চিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাকিবুল হাসান, রায়হান সরকারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি শুধু একজন শিশুর জীবনকেই দুর্বিষহ করে তোলে না, সমাজকেও পিছিয়ে দেয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকার কঠোর আইন করেছে, রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থাও। তারপরও বিভিন্ন এলাকায় এখনো বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটে। এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন সম্মিলিত সামাজিক সচেতনতা ও উদ্যোগ।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালে সরকার বাল্যবিবাহ নিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে, যার লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহের হার এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের এক জরিপ অনুযায়ী, দেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৩৬ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগেই। যদিও ২০১৪ সালের তুলনায় এই হার অনেকটাই কমেছে (তখন ছিল ৫৫ শতাংশ)। তাই, বাল্যবিবাহ রোধে শুধুমাত্র আইন নয়, দরকার অভিভাবক ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
সভায় কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যাপক গণসচেতনতা, বিদ্যালয়ভিত্তিক প্রচারণা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।