Sharing is caring!
মোঃ ওবায়দুল হক মিলন সুনামগঞ্জ:
পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয় এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নিরাপদ সড়ক চাই সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে বিআরটিএ সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ২২ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ২.৩০ ঘটিকায় নিরাপদ সড়ক চাই সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সুনামগঞ্জ বিআরটিএ এর অফিসে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সড়কে নিরাপত্তা, এবং চালক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময়কালে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে একাধিক কর্মসূচির কথা উলেখ করা হয়। স্কুল/কলেজ ভিত্তিক সচেতনতা মূলক সভা, ক্যাম্পেইন, চালক, পথচারী, যাত্রীদের সচেতনতা এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মেনে চলা, ইজিবাইক চালকদের ট্রাফিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর আওতায় আনা। সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে নিসচা ও বিআরটিএ একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ এর সুনামগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম রাসেল এবং অফিসের দায়িত্বশীলগণ।
নিরাপদ সড়ক চাই সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ ওবায়দুল হক মিলনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নুর, প্রচার সম্পাদক ফয়জুর রহমান সজীব, সক্রিয় সদস্য ওবায়দুল মুন্সী, মাইনুদ্দিন, আব্দুল বাছির, শফিউল আলম,মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হুরায়রা ফাহিম, দবির মিয়া, সুফি আলম প্রমূখ।
সুনামগঞ্জ নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার প্রস্তাবনা
১.নিরাপদ সড়কের জন্য বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করে সঠিক নিয়মে প্রদান করতে হবে।
২.সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত ফি নিয়ে অদক্ষ চালককে লাইসেন্স প্রদান করা যাবেনা।
৩.সড়কে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৪.অবৈধ ফিটনেসবিহীন যান বাহন মহাসড়কে না চলতে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫.রাস্তাঘাটে ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলা নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৬.দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চালকদের প্রশিক্ষণ উন্নত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭.অবৈধভাবে চলাচলকারী গাড়িগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি প্রদান করা।
৮.বিআরটিএ-এর সেবার মান উন্নত করা এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি কমানোর জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করা।
৯.অন্যান্য বিষয়: পরিবেশগত প্রভাব কমাতে এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা উৎসাহিত করতে, যেমন ইলেকট্রিক বাহন ব্যবহার, অথবা নতুন প্রস্তাবনা দেওয়া।