আজ বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে এআই অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সেল গঠন হবে : সিইসি

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনে এআই অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সেল গঠন হবে : সিইসি

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

অনলাইন ডেস্ক:

Manual1 Ad Code

নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারের আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণ করে কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সঠিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত সেল গঠন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ‘ইন্টিগ্রেশন অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন আপকামিং ন্যাশনাল পার্লামেন্ট ইলেকশন টু কাউন্টার মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিজইনফরমেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনটিএমসি, এমআইএসটি, বিটিআরসি, সিআইডি, আইসিটি বিভাগ, আইএফইএস, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসিস, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

Manual2 Ad Code

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, “এআই-এর অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর অপব্যবহার রোধে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিতে চাই। অনেক দিন ধরেই আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলায় একটি কেন্দ্রীয় সেল গঠনের পরিকল্পনা করেছি।”

Manual3 Ad Code

তিনি আরও বলেন, “আজকের কর্মশালা থেকে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ আশা করছি। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, প্রত্যন্ত বা দুর্গম এলাকা থেকে যদি এআই ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়ানো হয়, তাহলে তা দ্রুত কীভাবে রোধ করা যাবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোর মাধ্যমে সঠিক তথ্য কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে—তা বিবেচনায় নিতে হবে।”

মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রোধে ২৪ ঘণ্টা সচল ও কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কত জনবল লাগবে, ফ্যাক্ট-চেকিং মেকানিজম কীভাবে কাজ করবে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় কীভাবে হবে এবং কোথা থেকে মিথ্যা তথ্যের উৎপত্তি হচ্ছে, সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে দ্রুত পৌঁছানো যাবে—এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট সুপারিশ প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “ফ্যাক্ট-চেকিং মেকানিজমকে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করতে হবে। শুধু একটি গাইডলাইন নয়, আমরা চাই সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সুপারিশ।”

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এক জরিপে দেখা গেছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভয়াবহতার কারণে বিশ্বের ৯২ শতাংশ নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে এআই-এর অপব্যবহার রোধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”

Manual1 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code