আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসপি বাবুল আক্তারের জামিন, মুক্তি মিলতে পারে আজ

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ণ
এসপি বাবুল আক্তারের জামিন, মুক্তি মিলতে পারে আজ

Sharing is caring!

Manual7 Ad Code

 

Manual5 Ad Code

টাইমস নিউজ

Manual8 Ad Code

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও সাবেক এসপি বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। তবে তার জামিনের কাগজপত্র চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এদিকে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবরে গণমাধ্যম কর্মীরা ভিড় করেন চট্টগ্রাম কারাগারের প্রধান ফটকে। অনেকে সেখান থেকে লাইভও সম্প্রচার করেন। বিকালের দিকে বাবুল আক্তারের দ্বিতীয় স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তাসহ স্বজনরা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ২৭ নভেম্বর স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এদিন মুক্তি দেওয়া হয়নি। সোমবার সকালে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক ‘অশুভ শক্তি’ শুরু থেকেই বাবুল আক্তারকে এই মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করে আসছে। আর সেই শক্তি কোর্ট থেকে শুরু করে কারাগার পর্যন্ত সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করছে। জামিন আদেশেই উচ্চ আদালত বলেছেন- স্থগিতাদেশ ছাড়া তার মুক্তি কেউ আটকাতে পারে না। আর জামিন হওয়ার পরেও তিনি কারাগারে থাকাটা তো কষ্ট দেওয়া, হয়রানি করা।

Manual4 Ad Code

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিনের আদেশ কারাগারে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে যাচাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।

Manual3 Ad Code

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১২ মে বাবুল আক্তারের মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code