আজ মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘায় চোরাই পণ্য বিক্রির সময় আটক,  মুক্তি মিললো শালিসের জরিমানায়

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ণ
বাঘায় চোরাই পণ্য বিক্রির সময় আটক,  মুক্তি মিললো শালিসের জরিমানায়

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code
দোয়েল,বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় চোরাই পণ্য বিক্রির সময় তিন চোরকে হাতে নাতে আটকের পর শালিসে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং) দুপুরে বাঘা উপজেলার  বাউসা ইউনিয়নের বিষ্ট মন্ডলের বাজেরে অনুষ্ঠিত শালিস বৈঠকে এই জরিমানা করা হয়। চোরাই পন্য চোরকে দিয়ে জরিমানার টাকা মালিকসহ স্থানীয় গোরস্থানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চুরির সাথে অভিযুক্তরা হলেন-  বাউসা ইউনিয়নের হেদাতি হেদাতি পাড়ার নাজমুলের ছেলে আসলাম হোসেন( ১৯), ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান(১৬), বুলবুলের ছেলে জাকির হোসেন (১৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শালিসের প্রধান প্রভাষক আবু তাহের।
জানা যায়, সোমবার (০৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে বিষ্ট মন্ডলের বাজারে চোরাই পণ্য পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে ওই ৩জনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। তারা ব্যবসায়ী বাবর আলীর কাছে চুরি করা ৮১ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছিল। এক সঙ্গে এতোগুলো পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখে এলাকার লোকজন তাদের আটক করেন। জিজ্ঞাসার পর  তারা  জানায়, বিক্রি করা পেঁয়াজ হেদাতি পাড়ার বিপ্লবের বাড়ি থেকে চুরি করা।
স্থানীয়দের ভাষ্য,তারা মাদক সেবনের সাথে জড়িত। বিগত সময়ে চুরির অভিযোগও রয়েছে।
ব্যবসায়ী বাবর আলীর ভাষ্য, পেঁয়াজগুলো ৩৮৭০(৩হাজার ৮৭০) টাকা দিয়ে কিনছিলেন। এদিকে, প্রতিমণ পেঁয়াজ বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকা দরে। এই হিসেবে বিক্রি করা পেঁয়াজের দাম হয় ৫২০০ টাকা। পাইকারি বাজার মূল্যের চেয়ে ১৩৩০ টাকা কমে কিনেছেন।
বিপ্লব হোসেন জানান,চাকরির সুবাদে তিনি বাইরে থাকেন। বাড়িতে থাকে তার স্ত্রী ও  বোন।
প্রভাষক আবু তাহের জানান,শালিসবর্গের সিদ্ধান্তে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মালিককে দেওয়া হবে ৩৮০০ টাকা। বাঁকি টাকা গোরস্থানে দেওয়া হবে। চোরাই পণ্য বিক্রির টাকা জরিমানার ১৮ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। শালিসে নবাব আলী,আনোয়ার হোসেন,হেকমত আলী ও শামীম হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আ. ফ. ম আছাদুজ্জামান জানান,এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। মৌখিক জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তার আগেই স্থানীয়ভাবে ফয়সালা করেছে বলে শুনেছি।
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code