আজ রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ণ
মৌলভীবাজারে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

Sharing is caring!


Manual4 Ad Code

রেডটাইমস ডেস্ক মৌলভীবাজার:

Manual2 Ad Code

মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রাণ হারান। পাওনা টাকা না দিতেই পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয় তাকে। এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তর ঘরগাঁও গ্রামের রনজিত দেবের ছেলে রবীন্দ্র দেব।

Manual2 Ad Code

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। মৌলভীবাজার জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মো. খাদেম-উল কায়েস এ রায় দেন।

Manual5 Ad Code

জানা যায়, লক্ষণ পাল ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামে। তিনি প্রায় ১৫ বছর থেকে শ্রীমঙ্গল শহরে ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী পূর্ণিমা রানী পাল শিমুল (৩০) ও মেয়ে সৃষ্টি রানী পালসহ (৪) কলেজ রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

দোকানের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ২০২১ সালের ১২ মার্চ শ্রীমঙ্গল শহরের সেন্ট্রাল রোডের শাহাদাত আলী মার্কেটের মা ভেরাইটিজ স্টোরের মালিক লক্ষণ পাল রাজনগর উপজেলার মোকাম বাজার ও আজাদের বাজারে যান। ফেরার পথে আজাদের বাজার আসার পর আগে থেকে ওত পেতে থাকা খুনিরা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ছদ্মবেশে যাত্রী সেজে তার সঙ্গে ওঠে। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আজাদের বাজার থেকে রাজনগর আসার পথে মধ্যবর্তী রাস্তায় লক্ষণকে স্থানে হত্যা করে তারা। লাশ রাস্তায় ফেলে রেখে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে যায় খুনিরা।

পরদিন লক্ষণ পালের ভাই স্বপন পাল বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রাজনগর থানার পুলিশ তদন্তে রবীন্দ্র দেবসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করে।

Manual1 Ad Code

দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলার সিনিয়র দায়রা জজ মো. খাদেম-উল কায়েস এ রায় দেন।

জানা গেছে, আসামি রিয়াদ মিয়া, রবীন্দ্র দেব, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, জালাল মিয়া ও মাসুদ আহমদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন দায়েরা জজ আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. সানোয়ার হোসেন। এই মামলায় রিয়াদ মিয়া ও রবীন্দ্র দেব জেলহাজতে থাকলেও সাজাপ্রাপ্ত অন্য ৫ জন আসামি পলাতক রয়েছে।

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code