Sharing is caring!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঐক্যের বন্ধনে মানবতার কল্যাণে এবং বৃটেনের কমিউনিটির উন্নয়ণে ও গ্রেটার সিলেটবাসীর দাবী দাওয়া আদায়ের আন্দোলনে নিষ্টা ও নিরলসভাবে কাজ করে চলার ধারাবাহিকতায় সংগঠন এর নর্থওয়েস্ট রিজিওনাল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) বৃটেনের রচডেল এর কমিউনিটি সেন্টারে প্রবীণ কমিউনিটি লিডার আলহাজ্ব সুরাবুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ মুজিবুর রহমান মুজিব এর পরিচালনায় সভায় কাউন্সিলর মন্তাজ আলী আজাদ, আলী আহমদ, গনি চৌধুরী, ফারুক আলী, নাজমুল ইসলাম, মীর গোলাম মোস্তফা, রুহুল আমিন রুহেল, সোহেল মিয়া, সৈয়দ ছাদেক আহমদ সহ নর্থওয়েস্ট এর বিভিন্ন শহর থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নাজমুল ইসলামকে চেয়ারপার্সন, মীর গোলাম মোস্তফাকে জেনারেল সেক্রেটারী ও সোহেল মিয়াকে ট্রেজারার করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর কমিউনিটি লিডার ও সিনিয়র সাংবাদিক মকিস মনসুর সভা চলাকালে টেলিকনফারেন্সে সংযুক্ত থেকে নতুন কমিটিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনের আগামী দিনের অগ্রযাত্রায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনায় প্রবাসীদের সহায় সম্পত্তি এবং ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে, প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ডাকাতি ও বিভিন্ন হয়রানি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা আরও জোরদার করার দাবি জানানো হয়।
ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকীকরণ ও বিমান ভাড়া কমানোর দাবি, ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দরা বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে বিমানের পাশাপাশি অন্যান্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু করতে হবে। একই সঙ্গে বিমানের ভাড়া কমানো এবং যাত্রীসেবা উন্নতকরণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
সিলেটকে পৃথক প্রদেশ করার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৮৭৫ সালে বৃটিশ সরকার বেঙ্গল প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক সিলেটকে আসামের সঙ্গে যুক্ত করে। পরে ১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে সিলেট আবার পূর্ব বাংলার সঙ্গে যুক্ত হলেও, শিক্ষা, প্রশাসন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সিলেটের প্রতি বৈষম্য বজায় থেকে যায়। সিলেট অঞ্চল অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন ও প্রশাসনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রাকৃতিক সম্পদ, পর্যটন ও রেমিট্যান্সে শীর্ষে থাকা সিলেটবাসীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সিলেটকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
হাইকমিশনের কনস্যুলার সার্ভিসের মানোন্নয়নের দাবি জানিয়ে বলা হয়, কনস্যুলার সার্ভিস বেজমেন্টে থাকায় প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী প্রবাসীদের জন্য সেবা গ্রহণ করা কষ্টকর। তাই এটি উপরের কোনো ফ্লোরে স্থানান্তর করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া, হাইকমিশনের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।