আজ রবিবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে’, অমিত শাহের মন্তব্যে আলোড়ন

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ণ
‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে’, অমিত শাহের মন্তব্যে আলোড়ন

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual8 Ad Code
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই বিলের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো।
বিল নিয়ে বিতর্কের মাঝে নতুন আলোড়ন ছড়িয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য। সংসদে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন সবার ওপরে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেও জবাবদিহি করতে হবে, এমনকি পদত্যাগ করতেও হতে পারে।’
এই মন্তব্য দেশটির পার্লামেন্ট ভবন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিল পেশ প্রসঙ্গে বিরোধী শিবিরের নেতারা অভিযোগ করছেন, সরকার সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, ‘এটি সংবিধান আক্রমণের সমান, আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনে নামব।’
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এই বিল জনগণের কণ্ঠরোধের ফাঁদ। সরকার জনসমর্থন হারিয়ে ভয় দেখানোর পথ বেছে নিয়েছে।’
এ প্রেক্ষাপটে বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধীদের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। সংবিধানের কাঠামো অক্ষুণ্ণ রয়েছে। আইন ভাঙলে বা সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করলে প্রধানমন্ত্রীও রেহাই পাবেন না। আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি এটাই।’
তার এই মন্তব্য বিরোধীদের মধ্যে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেন, ‘অমিত শাহ নিজেই স্বীকার করেছেন, এই বিলের পর পরিস্থিতি এমন দাঁড়াতে পারে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অনিবার্য হবে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক বিশ্লেষণে বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রসঙ্গ টেনে এনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের হাতে অজান্তেই শক্তি তুলে দিলেন।’
আনন্দবাজার পত্রিকা বলেছে, ‘এই বিতর্ক থেকে স্পষ্ট, বিজেপি ভেতরেই চাপ অনুভব করছে, যা বিরোধীরা সুযোগ হিসেবে নেবে।’
এদিকে, দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে যেমন- মুম্বাই, কলকাতা ও চেন্নাইতেও মিছিল হয়েছে। ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং নাগরিক মঞ্চগুলোও রাস্তায় নেমেছে।
 দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ করে বলে, ‘সংবিধান রক্ষা করতে না পারলে কোনো সরকার বৈধ নয়।’
অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code