আজ শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় কলেজের দেওয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখায় বিএনপির বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ণ
বগুড়ায় কলেজের দেওয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখায় বিএনপির বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

টাইমস নিউজ 

Manual3 Ad Code

 

Manual5 Ad Code

বগুড়ার নন্দীগ্রাম মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের দেওয়ালে ‘জয় বাংলা, শেখ হাসিনায় আস্থা’ স্লোগান লেখার প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

Manual1 Ad Code

শুক্রবার দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কালো কালি দিয়ে ওই স্লোগান মুছে দেয়। পরে রাতে প্রতিবাদ জানিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই সেখানে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে দায়ী করা হয়।

অভিযোগে জানা গেছে, কে বা কারা বগুড়ার নন্দীগ্রামের মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের দেওয়ালে ‘জয় বাংলা, শেখ হাসিনায় আস্থা’ স্লোগান লেখেন। উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিষয়টি টের পেয়ে কালো কালি দিয়ে স্লোগানগুলো ঢেকে দেন।

এদিকে এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আদরের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে বক্তব্য রাখেন।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে সমাবেশ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সেখানে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এর একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। যদিও এতে কেউ আহত হয়নি। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে একটি অবিস্ফোরিত ককটেলসদৃশ কৌটা উদ্ধার করে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেউ এসব দেওয়ালে লিখেছে। লেখাগুলো আমাদের ছেলেরা মুছে দিয়েছে। রাতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করি। সমাবেশ শেষ হওয়ার ২০ মিনিট পরেই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব করেছে দাবি করে বিএনপি নেতা এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

তবে নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা দাবি করেন, কলেজের দেওয়াল লিখনের ব্যাপারে তাদের কিছুই জানা নেই। এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাই ওই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারা এর দায় ছাত্রলীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

নন্দীগ্রাম থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। সেখান থেকে ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Manual3 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code