আজ রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারের দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ছাত্রকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২০, ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual8 Ad Code

রেডটাইমস ডেস্ক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র মো: আরিয়ান হোসেন কাব্য নামে একজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাত করে।

গত ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১ টার দিকে দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলে এ ঘটনাটি ঘটে।

Manual4 Ad Code

এব্যাপারে ছেলের বাবা আনোয়ার হোসেন স্কুল কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১১.১১.২০২৪ইং তারিখ রোজ সোমবার স্কুল চলাকালীন সময় আনুমানিক বেলা ১ ঘটিকায় অত্রবিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে থেকে আমার কনিষ্ঠ ছেলেকে মুখ চেপে ধরে ঐ ভবনের ২য় তলায় ১টি কক্ষে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তাকে নান-চাকু দিয়ে পিঠে আঘাত করে ও পরবর্তীতে তার ব্যাগ থেকে ধারালো চাকু বের করে আঘাত করার সময় আমার ছেলে দৌড়ে বের হয়ে আসে। আমার ছেলে তাৎক্ষনিক অত্রবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোকসানা ম্যাডাম কে ভয়ের সাথে জড়িয়ে ধরে তাকে ঘটনা বলে। রোকসানা ম্যাডাম ঐ সময় আমার ছেলেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য-কে বলে। প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে ক্লাসে চলে যেতে বলে। আমার ছেলে ক্লাসে চলে যায় এবং ঐ সময় ক্লাস শিক্ষক- কে ও ঘটনাটি বলে। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। ঐ সময় ব্যবস্থা নিলে জনৈক শিক্ষার্থী সনাক্ত হতো। সন্ধার সময় জনাব শাওন মজুমদার সুমন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের সামনে ৩য় তলার সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখা হয়। ঐ সময় ৩য় তলায় কিছু পাওয়া যায়নি। রাতে আমার ছেলেকে জিঙ্গাসা করে জানা যায় যে, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২য় তলার ০১টি কক্ষে। আশ্চার্যজনক বিষয় হচ্ছে যে, তাকে যে কক্ষে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটির সিসি ক্যামরায় বর্তমানে কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি নিন্মস্বাক্ষরকারীর সন্ধেহ হচ্ছে উক্ত সিসি ক্যামরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে নষ্ট করা হয়েছে। আমার ছেলেকে পিঠে আঘাত করাতে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও চোখে ঝাপসা দেখছে। তাকে তাৎক্ষনিক মেডিসিন ডাক্তার ও চোখের ডাক্তার দেখানো হয়।

Manual5 Ad Code

অভিভাবক আনোয়ার হোসেন আরো জানান,তাৎক্ষণিক স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেই নি। ছুটির পরে আমার ছেলে বাসায় এসে বলার পর তার নাক দিয়ে রক্ত দেখে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজও সে এক চোখে দেখতে পারছে না।

Manual5 Ad Code

দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি.এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ ব্যাপারে বলেন আমরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে কিছু পাইনি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক একজন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছিলেন আমি প্রধান শিক্ষকসহ এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে এ ব্যাপারটি খতিয়ে দেখেছি ।

Manual4 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code