নীলফামারীর জলঢাকায় দিনে-দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান”র কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে দশ,বারো জনের একটি হেলমেট পরিহিত সন্ত্রাসী দল। চেয়ারম্যান দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় ওই হেলমেট বাহিনী। এসময় চেয়ারম্যানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, আজ সোমবার ১৬ জুন দুপুরে উপজেলার ১০নং শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরের ভিতরে হঠাৎ ওই সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনী চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান জামান এর কক্ষে অতর্কিত প্রবেশ করে তাঁর কাছে বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চেয়ারম্যান দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের হাতে থাকা রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে চেয়ারম্যানকে গুরুতর আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সেরিনা বেগম (৩৫) জানান, ওই সময় আমি পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষের বাহিরে অবস্থান করছিলাম। এসময় পরিষদের ডান পার্শে ৪টি ও পরিষদের সামনে ৩টি মোটর বাইকে করে ১০/১২ জনের একটি অজ্ঞাত ব্যক্তির সংঘবদ্ধ দল, মুখে মাক্স, মাথায় হেলমেট এবং পরনে জুতো ও প্যান্ট পরা অবস্থায় চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে।
সেরিনা বেগম বলেন, দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যানের রুমে ঢুকেই লোহার রড দ্বারা আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে। ভাঙচুরের শব্দ গুনে কক্ষের সামনে এগুতে চাইলে দুর্বৃত্তরা আমাকে বাঁধা দেন। এ সময় একজনকে দেখি কোমড়ে পিস্তল ঢুকাচ্ছেন তৎক্ষনাৎ আমি আত্মচিৎকার করলে বাজারের লোকজন ছুটে আসে এবং হেলমেট বাহিনীর দুর্বৃত্তরা তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়ে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান জামান গণমাধ্যমকে জানান, পরিষদে তখন আমি একাই ছিলাম। হামলাকারীরা পরিকল্পিত ভাবে একই ড্রেস পরে আসায় সবাইকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে দুই তিনজনকে চিনতে সক্ষম হয়েছি। দুর্বৃত্তরা হামলা করার সময় আমার নিকট ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ টাকা না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সুস্থ হলে সব খোলামেলা প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।
এঘটনায় জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এরকম কোন খবর আমার কাছে নেই। যদি তারা কোন অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।