আজ সোমবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল ফোন কিনলেন মা

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
টাঙ্গাইলে ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল ফোন কিনলেন মা

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual5 Ad Code
টাঙ্গাইলে ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল ফোন কিনলেন মা
সদরুল আইনঃ
মোবাইল ফোন কিনতে নিজের চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন এক গর্ভধারিণী মা।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়।
স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে ৪ মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে নাকের নথ, নূপুর, মোবাইল ফোন ও জুতা কিনলেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক মা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম মধুপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। এরপর রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশুটি উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলা পৌর শহরের পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার ২ বছর আগে বিয়ে হয়।
 এর আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতায় তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এর মধ্যেই গত ৪ মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে যায়।
 কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক চেষ্টার পর গত বৃহস্পতিবার সন্তান বিক্রি করে দেয়ার খবর পাই। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত দেয়।
শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় আমার ছেলে তামিমকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, নূপুর ও নাকের নথ কিনছি। এইডা আমার ভুল হয়েছে। নিজ সন্তানকে বিক্রি করে আমি অনুতপ্ত।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, গত বৃহস্পতিবার লাবনী নামের এক মা তার ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছে বলে আমাদের তার স্বামী জানায়।
পরে ওসি তদন্ত রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code