Sharing is caring!

নাসরীন জাহান
চুলে ক্লিপ দিয়ে ঢাকনা দিয়েছি খাদ্যে,
কারণ বলতো অনেকে,
তোমার শরীর কিন্তু একেবারে খাইখাই!
চারপাশে আনারস চক্ষু,
কেবল চোখ বের করে হোঁচট খেয়ে কত যে কসরতে হাঁটা রপ্ত করেছি!
প্রায়শ অন্ধকার দৈত্যের মতো নেমে আসত,
ফাল্গুন ঘুর্ণঝড়ের মতো বরফ নামিয়ে আনত আমাদের ওপর।
ওদের চোখ জিহবা রাক্ষস আর
শরীরগুলো ক্ষুধার্ত নেকড়ে হয়ে গেল,
একটানে ছিনিয়ে নিল ঢাকনা।
তাই রাস্তা মেপে মেপে চলেও শেষ রক্ষা হল কই?
ময়নাতদন্তে ভুলভাল রিপোর্ট চলছে!
নাসরীন জাহান : লেখক।নাসরীন জাহান ১৯৬৪ সালে ৫ মার্চ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম আম্বিয়া ফকির ছিলেন সরকারি চাকুরিজীবী ও মা উম্মে সালমা ছিলেন গৃহিণী। বাবার চাকরির কারণে থাকতেন মামাবাড়িতে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে তাকে আর তার ভাইকে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের এক মামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে ভর্তি হন শানকিপাড়া স্কুলে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকতেন ফুফুর বাড়িতে। ফুফুর এক মেয়ে ছিল শবনম জাহান। ফুফু তার নামের সাথে মিল রেখে মা-বাবার দেয়া নাম নাসরীন সুলতানা পরিবর্তন করে তার নাম রাখেন নাসরীন জাহান। স্কুলে পড়াকালীন পারভিন সুলতানা নামে এক বন্ধুর সাথে তার সখ্য গড়ে উঠে। সে বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-এ ভর্তি হলে তিনিও একই স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৭৭ সালে শিশু একাডেমি থেকে লেখা চাওয়া হলে দুই বান্ধবী লেখা পাঠায়। দুজনের লেখা প্রকাশিত হয় সেই পত্রিকায়।