আজ শুক্রবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী কমিটি দিতে চাঁদা দাবি, ফাঁসের পর বললেন ‘মজা করেছি’

editor
প্রকাশিত জুলাই ৭, ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী কমিটি দিতে চাঁদা দাবি, ফাঁসের পর বললেন ‘মজা করেছি’

বৈষম্যবিরোধী কমিটি

Sharing is caring!


Manual6 Ad Code
দৈনিক বর্তমান দেশবাংলাঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা শাখার বিরুদ্ধে উপজেলা কমিটি গঠনের নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
মনিরামপুর শাখার কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেছেন, একটি আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার জন্য জেলা পর্যায়ের তিন নেতা তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেছেন।
মনিরামপুর শাখার সদস্য হাসান ইকবাল সানি, শরিফ মাহমুদ ও নাসিমুল বারী সাইমুম জানান, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় জেলা কমিটির সংগঠক মেহেদী হাসান তাদের ফোন করে জানান, মনিরামপুর উপজেলা কমিটি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে জেলা নেতারা দেখা করবেন।
এরপর আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যশোর সিটি প্লাজায় পৌঁছায়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ ও সংগঠক মেহেদী হাসান।
তারা বলেন, সিটি প্লাজার ছাদে নিয়ে গিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে মেহেদী হাসান তাদের কাছে কমিটি দেওয়ার শর্ত হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
তখন তারা আপত্তি জানালে জেলা নেতারা বলেন, ‘৮০ জনের খসড়া তালিকা আছে, প্রত্যেকে যদি ২ হাজার টাকা দেয়, তাহলেই তো ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হয়ে যায়।’
অভিযোগকারীরা আরও বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটিতেও আহ্বায়ক পদের জন্য ২ লাখ এবং সদস্য পদের জন্য ১ লাখ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে তারা জেলা নেতাদের মুখ থেকেই শুনেছেন। তাদের দাবি, এ সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড প্রমাণ হিসেবে তাদের কাছে আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সংগঠক মেহেদী হাসান দাবি করেন, ‘সানি, শরিফ ও সাইমুম নিজেরাই আমাদের গ্রুপে মেসেজ দিয়ে কমিটির জন্য যোগাযোগ করেন। আড়াই লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল মজা করে, এটি কোনো সিরিয়াস দাবি ছিল না।
তারা টাকা দিয়ে কমিটি নেবে কি না, এজন্য মজা করে আড়াই লাখ টাকা চাওয়া হয়।’ তিনি আরও জানান, আলোচনার সময় অন্য দুই জেলা নেতা—যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ ও মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহও উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে সাংগঠনিকভাবে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code