Sharing is caring!

মোহাম্মদ নুরুল আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মেঘালয়ের আকাশ ছোঁয়া সুবিশাল পাহাড়ের বুক চিরে নামছে শুভ্র ঝর্ণা। সৌন্দর্যের শোভা ছড়াচ্ছে পাহাড়ের কোল ঘেষা সারি সারি সুপারী গাছ। পাহাড়ের পাদদেশেই বয়ে চলছে শান্ত নদী। বিস্তীর্ণ ভূমিতে সবুজ রুপ লাবণ্যতা, গাছে গাছে পাখির কলতান। এমনই অফুরান নৈসর্গিক সৌন্দর্যে বেষ্টিত একটি দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ ‘নলজুড়ি ক্রিকেট গ্রাউন্ড’।
সিলেট শহর থেকে প্রায় অর্ধশত কিলোমিটার দূরে নলজুড়ি মোকামবাড়ি এলাকার এই ক্রিকেট মাঠটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা ভাইরাল এ মাঠটিকে কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের উপাখ্যান পেহেলগামের সাথে তুলনা করছেন। কেউ কেউ আবার নাম দিয়েছেন মিনি সুইজারল্যান্ড। নজরকাড়া এই মাঠটি এখন ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে এক অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের নলজুড়ি বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার ভিতরে ভারতের সীমাম্ত সংলগ্ন এই মাঠের অবস্থান। স্থানীয়দের কাছে এলাকাটি ‘আলুবাগান’ নামেও পরিচিত। ফেসবুক, ইউটিউবে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অসংখ্য দর্শনার্থী ভীড় করছেন মাঠটি দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ খেলছেন, কেউ দলবেঁধে গানের আড্ডা বসাচ্ছেন, আবার কেউবা শান্ত নদীর তীরে বসে প্রকৃতির সুভাষ নিচ্ছেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলোয়াড়েরা এখানে ক্রিকেট খেলতে আসেন। বছরের প্রায় সময়ই এখানে ছোট-বড় বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়। তবে এখানে কোনো ম্যাচ আয়োজনের পূর্বে নলজুড়ি ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়।
ঈদের দ্বিতীয় দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে দুইটি টিমের মধ্যে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। একটি টিমের হয়ে খেলায় অংশ নেওয়া শাহীন আহমদ জানান, “এখানে খেলতে এসে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। মাঠের চারপাশের ভিউতে যে কেউ আকৃষ্ট হতে মুগ্ধ “। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ শামীম রশিদ নামের আরেক খেলোয়াড় বলেন, ” খেলার সুবাধে সিলেটের বিভিন্ন মাঠে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে কিন্তু ন্যাচারাল ভিউটির দিক দিয়ে এই মাঠটি নিতান্তই ব্যতিক্রম”।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, “ছুটির দিনগুলোতে মাঠে প্রচুর দর্শনার্থী ভীড় করেন। সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ গ্রাউন্ডটি দেখতে আসেন”। তাদের দাবী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে মাঠটিকে স্টেডিয়ামে রুপান্তরিত করতে পারলে এটি দেশের সবচেয়ে দর্শনীয় স্টেডিয়ামে পরিণত হবে।