আজ মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি

editor
প্রকাশিত জুলাই ১১, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম, মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual8 Ad Code
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদের পর কিছুটা কমলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত, যা নিয়ে বিস্মিত ক্রেতারা। তবে মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকায় সেখানেই স্বস্তি খুঁজছেন অনেকে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বনশ্রীসহ আশপাশের বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতা-ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫–১৭০ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪৫–১৫০ টাকার মধ্যে। সোনালি মুরগির দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকা, আগে যা ছিল ২৮০।
গত বছর সেপ্টেম্বরেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগির জন্য সর্বোচ্চ দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। এক বছর না যেতেই বাজার আবার সেই দামের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
রামপুরা বাজারে দেখা গেছে, মুরগির দাম বাড়ায় দোকানে ভিড় তুলনামূলকভাবে কম। এক গৃহিণী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গত সপ্তাহে ১৫৫ টাকায় কিনেছিলাম, আজ ১৭৫ চাইছে! সপ্তাহেই ২০ টাকা বাড়া কি স্বাভাবিক?”
জবাবে দোকানি বলেন, “আমরা দাম বাড়াইনি, ফার্ম থেকেই দাম বেশি। আগে কিনতাম ১৪৫–১৫০ টাকায়, এখন ১৬০–১৬৫ টাকায়। লাভ না থাকলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যায়।”
পোশাকশ্রমিক রেজাউল বলেন, “এই দাম দিয়ে কীভাবে কিনব? বাচ্চাদের কথা ভেবে মাঝে মাঝে কিনি, কিন্তু এখন তো সেটাও কঠিন হয়ে গেল।”
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরবরাহ চেইনে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় সরবরাহে বিঘ্ন ও ফিডের দাম বাড়ার কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি।
এদিকে মাছের বাজারে তুলনামূলকভাবে স্বস্তি বিরাজ করছে। বনশ্রী বাজারে তাজা রুই, কাতল, পাবদা, চিংড়ি, শিংসহ বিভিন্ন মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের দামের কাছাকাছি।
রুই/কাতল: ৩০০–৩৪০ টাকা, পাবদা: ৩৫০–৪০০ টাকা, চিংড়ি: ৬৫০–৭০০ টাকা, টেংরা: ৬০০–৭০০ টাকা, শিং/কৈ: ৪০০–৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া/পাঙ্গাস: ১৮০–২০০ টাকা, দেশি শিং/কৈ: যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা।
শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, “মুরগির দাম বেড়েছে, মাংসের দাম এমনিতেই বেশি। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য মাছই এখন সবচেয়ে ব্যালান্সড বিকল্প।”
মাছ বিক্রেতারা জানান, ঈদের পর মাছের চাহিদা বাড়ছে। কারণ মানুষ মাংস থেকে কিছুটা বিরত থাকতে চায়, আর দামও সহনীয় থাকায় বিক্রিও ভালো।
রামপুরার মাংস ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন বলেন, “গরুর মাংস ৭৫০–৭৮০, খাসি ১১০০ এবং ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি করছি। কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। সবাই মাছ-মুরগির দিকেই ঝুঁকেছে।”
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code